ইসলামি ঐতিহ্যের নতুন দিগন্ত রচনা করেছে সৌদি আরবের মক্কার এই কোরআন জাদুঘর। গেলো রমজানে মক্কার হেরা সাংস্কৃতিক জেলায় এটি উদ্বোধনের পর থেকে শুরু হয় দর্শনার্থীদের আনাগোনা। এখন হজ পালন করতে যাওয়া বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর পদচারণায় মুখর জাদুঘরটি।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআনের কপি দেখতে পেয়ে খুশি দর্শনার্থীরা। এছাড়াও রয়েছে পবিত্র কোরআনের দুর্লভ ও ঐতিহাসিক পাণ্ডুলিপি। তবে দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হলো ইন্টারেক্টিভ ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী, যেখানে তারা জানতে পারছেন কোরআন শরীফের প্রাথমিক লেখার ইতিহাস ও সংরক্ষণের প্রক্রিয়া। মুসলমানদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন নাজিলের সময়কার এসব নিদর্শন একনজর দেখতে তাই ভিড়টাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।
দর্শকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা এখনে যা দেখতে পাচ্ছি, তার মধ্যে ইসলামের অনেক বার্তা রয়েছে। এছাড়া ইসলামের মহত্ত্ব প্রদর্শনের অনেক নজির রয়েছে।’
মক্কা জাদুঘর পরিচালনা কোম্পানি সামায়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাওয়াজ আবদুল্লাহ আলমুহরজ বলেন, ‘গত রমজানে মক্কা আল-মুকাররামার উপ-আমির কর্তৃক 'পবিত্র কোরআন জাদুঘর' উদ্বোধন করা হয়েছিল। এতে দুর্লভ কুরআনের নিদর্শনগুলোর একটি রাখা হয়েছে। প্রদর্শনীর লক্ষ্য দর্শনার্থীদের পবিত্র কোরআন সম্পর্কে বিস্তর ধারণা দেয়া। এর লেখা, সংরক্ষণ পদ্ধতি এবং অনন্য নিদর্শনের মধ্য দিয়ে দর্শকরা অনেক কিছু জানতে পারবেন। এখানে বিশ্বের বৃহত্তম কোরআনের কপিও রয়েছে।’
ইসলামি জ্ঞান ও ঐতিহ্যের এ স্থানটি ওমরাহ, হজযাত্রী এবং সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য সারা বছর উন্মুক্ত। হজ পালন শেষে ভিড় আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা জাদুঘর কর্তৃপক্ষের।
ফাওয়াজ আবদুল্লাহ আলমুহরজ বলেন, ‘জাদুঘরটি যেখানে প্রথম কোরআন নাজিল হয়েছিল - জাবাল আল-নূরের নিচে অবস্থিত। এই জেলায় হেরা গুহা রয়েছে, যেখানে নবি মুহাম্মদের উপর কোরআনের ওহি নাজিল হয়েছিল। তাঁর উপর শান্তি ও আশীর্বাদ বর্ষিত হোক। জাদুঘরের তাৎপর্য নিহিত এই ঐতিহাসিক স্থানে অবস্থিত, যেখানে প্রথমবারের মতো কোরআন নাজিল হয়।’
কোরআন জাদুঘরটির মধ্য দিয়ে বর্তমানে মক্কার অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে হেরা সাংস্কৃতিক জেলা।