ইরান-ইসরাইল ইস্যুতে শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে ইরানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমীর সাইদ ইরাভানি। সেই সঙ্গে তেল আবিবকে ইরানে হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তিনি।
আমীর সাইদ ইরাভানি বলেন, ‘ইরানের নিউক্লিয়ার কেন্দ্রে সরাসরি হামলার হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ও ইরানের সার্বভৌমত্বের প্রতি আঘাত। এ ধরনের বেপরোয়া মন্তব্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যের মানায় না।’
তবে ইরানে হামলা বন্ধ হবে না বলে জানান ইসরাইলের প্রতিনিধি ড্যানি ড্যনন।
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দশক ধরেই কূটনৈতিক আলোচনার ফলাফল দেখছি। ইরানের ক্ষমতাকে ধ্বংস করতে হলে এখনই কিছু করতে হবে। তাদের সঙ্গে আলোচনার করে কিছুই হবে না।’
ইসরাইলের পাশাপাশি পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রও ইরানকে তোপের মুখে ফেলার চেষ্টা করে। জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি ডরোথি শিয়া জানান, ইরানকে অবশ্যই ইউরেনিয়াম উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
একইদিন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। সেসময় আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে ইরানে হামলা করায় ইসরাইলকে যুদ্ধাপরাধী বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে ইসরাইল যদি ইরানে হামলা বন্ধ করে তবে কূটনৈতিক আলোচনার সুযোগ রয়েছে বলে জানান আরাগচি।
আব্বাস আরাগচি বলেন, ‘ইন্ট্যারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির নিয়ম মেনে শান্তিপূর্ণভাবে ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে ইরান। এরপরও আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করে পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। অবশ্যই তাদের এ হামলা যুদ্ধাপরাধের সমান।’
এদিকে অষ্টম দিনের মতো চলছে ইরান-ইসরাইল পাল্টপাল্টি হামলা। ইসরাইলের হাইফা শহরে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে ইরান। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১৭ জন। অপরদিকে ইরানের বিপ্লবী গার্ডের ঘাঁটিতে হামলা কোরে আইআরজিসির এক কমান্ডারকে হত্যার করে ইসরাইল।