কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে,তাদের পরিকল্পনায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি ছিল বলে সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত খবরের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কারও অনুমতি তাদের প্রয়োজন নেই।’ খামেনিকে হত্যা করতে চাইলেও তার দাবি, এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা আঁচ করতে পেরে অজ্ঞাত স্থানে আশ্রয় নিয়েছিলেন খামেনি। এমনকি ইসরাইলের প্রথম দফা হামলায় নিহত রেভল্যুশনারি গার্ড নেতাদের স্থলাভিষিক্তদের সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি তিনি।
তবে যুদ্ধের মধ্যেও ভিডিও বার্তা দিয়েছেন খামেনি। তার কথাবার্তায় সামরিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
খামেনি ইরানের কার্যত নেতা (ডি ফ্যাক্টো লিডার) এবং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা লাখো শিয়া মুসলিমের সর্বোচ্চ আধ্যাত্মিক গুরু হিসেবে স্বীকৃত। স্বাভাবিকভাবেই, তাকে হত্যার পরিণতি ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা ছিল।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ চলাকালীন বলেছিলেন, এই সংঘর্ষের কারণে ইরানে শাসকগোষ্ঠীর পতন হতে পারে। ট্রাম্প তো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেই বসেন, ইরানকে আবারও মহান করুন (মেইক ইরান গ্রেইট অ্যাগেইন)।
ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা গুড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইলি, পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
হামলায় ইরানের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিচ্ছে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল। ইরানের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে অতিরঞ্জিত বক্তব্য দিচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।
কাতজের দাবি, ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আবারও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে ইসরাইলকে হামলার সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। তবে সাম্প্রতিক হামলার পর ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করতে পারবে বলে বিশ্বাস করেন না তিনি।
ইরানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পর আরব দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরির সুযোগ পাওয়া গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নেতানিয়াহু। মার্কিন হামলার প্রতিক্রিয়ার কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটিতে ইরানের এক দফার হামলার পর যুদ্ধবিরতির সূচনা হয়।
যুদ্ধে ইসরাইলের জয় হয়েছে দাবি করে নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে লড়াই করে এক মহান বিজয় অর্জন করেছি। ইরানও যুদ্ধে জয় লাভের দাবি করেছে। তেহরান বলছে, তাদের পারমাণবিক সক্ষমতা ধ্বংসে ইসরাইলের প্রচেষ্টা তারা ব্যর্থ করে দিয়েছে।