জি সেভেন সম্মেলনের শেষদিনে সহযোগী দেশ ও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে বৈঠক করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইরানকে সংযত হতে হবে। সেইসঙ্গে ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি মেনে চলার ওপরও গুরুত্ব দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেন, ‘জি সেভেন নেতারা একমত যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরাতে হবে। ইরান এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। তারা কোনোভাবেই পরমাণু অস্ত্র রাখতে পারবে না। সমস্যার সমাধান যেমন চাই তেমনি ইরানকে নিরস্ত্রীকরণ করাও জরুরি। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতির পক্ষেও আমরা।’
ইসরাইলের হামলার নিন্দা না জানিয়ে উল্টো ইরানকেই দোষারোপ করছে জি সেভেন। তবে ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তার পরিমাণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন জোটের নেতারা। অটোয়া একাই প্রায় সাড়ে ৪শ' কোটি ডলারের সহায়তা দিচ্ছে কিয়েভকে। ব্রিটেন ও জাপান দিচ্ছে আরও সাড়ে ৬শ' কোটি ডলার। একইসঙ্গে রাশিয়া ও দেশটির নাগরিকদের ওপর আরোপ করা হয়েছে নতুন নিষেধাজ্ঞা। ইউরোপে রুশ নাগরিকদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ঘোষণাও এসেছে।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘মিত্রদের কাছ থেকে সহায়তা চাই। ধন্যবাদ কানাডাকে সামরিক সহায়তার জন্য। এটা আমাদের সেনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, যতদিন না রাশিয়া শান্তির জন্য আলোচনায় না বসছে। আমরা যদিও শর্তহীন যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তুত সবসময়।’
বাণিজ্য বাড়াতে এবারের সম্মেলনকে গুরুত্বপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকরা। ব্যবসা সম্প্রসারণের দিকে জোর দিয়েছে কানাডা। এ সময় মার্ক কার্নি বৈঠক করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও। জাস্টিন ট্রুডোর আমলে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি কাটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হন দুই নেতা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘জি সেভেন সম্মেলনে ভারতকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ। ২০১৫ সালের পর কানাডায় এসে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি। সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ আমরা। ভারত বিশ্বের জন্য অনেক কিছু করেছে। জি টুয়েন্টিতে আমরা ভূমিকা রেখে চলেছি। জি সেভেনেও অবদান রাখবো।’
মোদির সঙ্গে কার্নির বৈঠক যখন চলমান তখন বাইরে শত শত মানুষের বিক্ষোভ গণমাধ্যমে শিরোনাম হয়। ভারতে শিখসহ সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন বিক্ষোভকারীরা।
তাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা পাঞ্জাবের মানুষ। যা ভারত দখল করে রেখেছে। তাই আমরা দেশহীন। দেশের বাইরে এসেও এ বিষয়ে বলতে গেলে আমাদের দমন করা হচ্ছে।’
কাশ্মীরেও ভারত সরকারের বল প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বহু মানুষ। দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বিশ্ব মিডিয়ার।