রাঙামাটিতে ভারতীয় ১১ গরু উদ্ধার, ২ পাচারকারী আটক

পুলিশের অভিযানে আটক চোরাকারবারী ও উদ্ধার হওয়া গরু
এখন জনপদে
আইন ও আদালত
0

সীমান্ত পেরিয়ে চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১১টি গরু উদ্ধার করেছে কাউখালী থানা পুলিশ। এসব গরুর স্থানীয় বাজারমূল্য ১৫ লাখ টাকার বেশি। এ ঘটনায় মো. সাকিব ওরফে বাবু (২৪) ও মো. শামীম (২৮) নামের দুই চোরাকারবারীকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে।

গতকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত মধ্যরাতে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের কাউখালী উপজেলার ঘাগড়া বটতলী এলাকা থেকে এসব গরুসহ দুইজনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে সাকিব চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সাতঘড়িয়া পাড়ার বাছা মিয়ার ছেলে আর শামীম একই উপজেলার হালিমপুর গাজীবাড়ী এলাকার বাচা মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য বলছে, পার্শ্ববর্তী ভারত ও মিয়ানমার সীমান্তের সাথে লাগোয়া রাঙামাটির জুড়াছড়ি, বিলাইছড়ি ও বরকল উপজেলায় চোরাকারবারীরা বেশ সক্রিয়। এসব এলাকা দিয়ে প্রায় নিয়মিত মিয়ানমার ও ভারতীয় গরু, সিগারেট, বিভিন্ন ধরনের মসলাসহ অস্ত্র ও মাদক রাঙামাটিতে প্রবেশ করছে।

পরে সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাচার হয়ে আসছে। তবে দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র এককভাবে এসব নিয়ন্ত্রণ করে আসলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ায় নতুন করে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আরেকটি চোরাকারবারী চক্র। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হাতে নিতে না পারায় প্রায়শই ধরা পড়ছে চোরাই পণ্য সহ পাচারকারীরা।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সোহাগ জানান, উদ্ধার হওয়া এসব গরু রাঙামাটির জুড়াছড়ি উপজেলা থেকে নৌপথে রাঙামাটি জেলা সদরে আনা হয়েছে। পরে রাঙামাটি ট্রাক টার্মিনাল থেকে ট্রাকে করে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রানীরহাট বাজারে নেওয়া হচ্ছিলো। পুলিশ অভিযানে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় ২ পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি। তিনি জানান আটককৃতরা স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে গত তিন চার বছর যাবত এভাবেই তারা গরু পাচার করে আসছে।

এএইচ