আটক ১০ জন পাচারকারী কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘সাগরে ৫৮ দিনে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় কোন ট্রলার অবস্থান করা বেআইনি। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১ মে) মধ্যরাতে টেকনাফের সেন্টমার্টিন উপকূলের গভীর সাগরে কাঠের তৈরি সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পায় কোস্টগার্ডের জাহাজ তাজউদ্দিনের সদস্যরা। এতে কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে থামার জন্য নির্দেশ দেন। কিন্তু ট্রলারটিতে থাকা লোকজন দ্রুত গতিতে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। পরে ট্রলারটিকে ধাওয়া দিয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা জব্দ করতে সক্ষম হন।’
এসময় ট্রলারটি তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক-কর ফাঁকি দিয়ে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পাচারের জন্য বহন করা ৬০০ বস্তা ইউরিয়া সার পাওয়া যায়। ট্রলারে থাকা ১০ জন পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
কোস্টগার্ডের এক গণমাধ্যম কর্মকর্তা বলেন, ‘শুক্রবার সকালে ট্রলারটি টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন কোস্টগার্ডের জেটি ঘাটে নিয়ে আসা হয়। ট্রলারটি থেকে উদ্ধার করা সারগুলো টেকনাফ কাস্টমস কার্যালয়ে জমা রাখা হয়েছে।’
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এইচ এম এম হারুন-অর-রশিদ।