শহিদুল শেখ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গয়লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাসচালক ছিলেন।
এর আগে গত ১৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে প্রায় ৬০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে বাসটি ছাড়ে। রাত পৌনে ৯টার দিকে বাসটি ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠে। শ্রীনগরের কামারখোলা সেতুতে ওঠার পর বাসটি একটি কাভার্ড ভ্যানের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের ছাদ সামনের দিক থেকে ভেঙে পেছনে গিয়ে আটকে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের ভাষ্য, দুর্ঘটনার পরও চালক বাসটি না থামিয়ে দ্রুতগতিতে চালিয়ে যেতে থাকেন। এক কিলোমিটার দূরে সমষপুর এলাকায় পৌঁছালে বাসের ছাদটি উড়ে পড়ে যায় এবং একটি প্রাইভেট কারকেও ধাক্কা দেয়। এরপর চালক বাসটি আরও পাঁচ কিলোমিটার দূরে লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় সিদ্দিকিয়া মাদ্রাসার সামনে ফেলে পালিয়ে যান। বাসে থাকা যাত্রীরা ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করলেও চালক কর্ণপাত করেননি। পরে স্থানীয় লোকজন বাসটি ঘেরাও করেন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
এ ঘটনায় পরদিন হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আতিউর রহমান বাদী হয়ে শহিদুল শেখকে আসামি করে সড়ক পরিবহন আইনে শ্রীনগর থানায় মামলা করেন।
র্যাব-১০ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাসচালককে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র্যাব নজরদারি বৃদ্ধি করে। গতকাল রাতে ধলেশ্বরী টোল প্লাজা এলাকা থেকে শহিদুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তাকে আজ (বুধবার, ৭ মে) হাঁসাড়া হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়।