এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাবেক এ মেয়রের বাড়ির সামনে অবস্থা নেয় পুলিশ। খবর পেয়ে বাড়ির বাইরে অবস্থা নেয় এলাকাবাসী। পরে সড়ক অবরোধ সৃষ্টি করে এলাকাবাসী বিক্ষোভ শুরু করে বাড়ির চারপাশে ঘিরে রাখে।
স্থানীয়রা জানায়, গত আগস্টের পর এই প্রথম বিপুল সংখ্যক পুলিশের একটি বহর সেলিনা হায়াৎ আইভীর বাড়িতে আসে। এসময় আশপাশের মসজিদগুলোতে পুলিশ আসার খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ এসে কয়েটি স্থানে ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক অবরোধ করে।
গ্রেপ্তারের সময় সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুলিশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না দেখিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলা যদি অপরাধ হয়ে থাকে তাহলে আমি অপরাধী। কিন্তু নারায়ণগঞ্জে ২১ বছরের সেবায় কোনো দল কিংবা ব্যক্তিকে আঘাত করার মতো কিছু কখনো করিনি। যখনি নারায়ণগঞ্জে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তখনি প্রতিবাদ করেছি।’
আরো পড়ুন:
কোনো অপরাধ না করে অপরাধী হিসেবে গ্রেপ্তার করা বৈষম্য বলে দাবি করেন তিনি। বিগত সময়ের মতো নারায়ণগঞ্জবাসীকে পাশে থাকার আহবান জানান আইভী।
এদিকে সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় শহরের বি বি রোডের কালির বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তরা পটকা ফুটিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া গাড়ির বহরে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর বাড়িতে অভিযান করা হয়। শুক্রবার ভোরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় হত্যা এবং হত্যা চেষ্টাসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত গোয়েন্দা কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ বিলুপ্ত করার পর থেকে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি।