সোমবার (১২ মে) জেলা পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৩ জনকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা ও রড উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বিকেলের দিকে তাদের আদালতে হাজির করা হলে ৩ জনই ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। পরে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের কাগজীপাড়া এলাকার মো. জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জান্নাতি খাতুনকে গত ১০ মে গভীর রাতে অজ্ঞাত ব্যক্তি হত্যা করে বাড়ির ১০০ গজ সামনে ভূট্টা ক্ষেতের পাশে ফেলে রাখে। এরপর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
জান্নাতি খাতুন হলোখানা কাগজীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় নিহতের চাচা মো. খলিল হক বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে সদর থানার পুলিশের একটি টিম হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে।
তদন্তের একপর্যায়ে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পারে, নিহতের পিতা জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার প্রতিবেশী মজিবরের ৩২ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এরই জেরে জাহিদুল তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ১০ মে দিবাগত রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টার মধ্যে স্ত্রী ও ভাইয়ের স্ত্রীর সহযোগিতায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। জান্নাতিকে রড, দা দিয়ে এলোপাতাড়ি মেরে ও কুপিয়ে হত্যা করেন তারা। এরপর মরদেহ বাড়ির পাশের ভূট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখেন।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘মামলার তদন্তকারী অফিসার সদর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ ও ডিবি পুলিশের একটি টিম তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান শুরু করে মাত্র ৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হন।’
এ ছাড়া নিহতের পিতা জাহিদুলের দেখানো বাড়ির পাশের বাঁশঝারে মাটির নিচে পোতা অবস্থায় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ৩৩ ইঞ্চি লোহার রড এবং একটি দা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।