গ্রেপ্তার শাকিল উপজেলার ৪ নং ঘোড়াঘাট ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে গাজীপুর, জামালপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন থানায় ১৪টি ডাকাতি, দস্যুতা, হত্যাচেষ্টাসহ চুরির মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ২৭ এপ্রিল রাতে হিলি-ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক সড়কে পুলিশের একটি গাড়ি টহল দিচ্ছিল। এসময় ডাকাতের একটি দল ডুগডুগি খাঁ পুকুর মাজার সংলগ্ন নির্মাণাধীন ব্রিজের পূর্বপাশ এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পুলিশের গাড়িটি ওই এলাকায় এলে ডাকাতদল গতিরোধ করে ডাকাতির চেষ্টা চালায়।
এসময় পুলিশ দেখে তারা পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পালিয়ে গেলেও দুজনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা বেশকিছু অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। এই ডাকাত দলের সাথে গ্রেপ্তার শাকিলের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় পর তখন থেকে তাকে খুঁজছিল পুলিশ।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘গ্রেপ্তার শাকিল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। এছাড়া সে থানার মূলতবী ৫টি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।’
ওসি আরো বলেন, ‘শাকিলের একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দল রয়েছে। দলটি গাজীপুর, জামালপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে থাকে। প্রথমে দলের সদস্যরা ডাকাতির জন্য সেই জায়গা রেকি করে। পরবর্তীতে তারা সুকৌশলে গভীর রাতে রাস্তায় গাছ ফেলে মোটরসাইকেল, ট্রাক, বাসের যাত্রীদের হাত-পা, মুখ বেঁধে মারধর করে ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।’
ডাকাতের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।