তিনি বলেন, ‘জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের খালাসের মধ্য দিয়ে সত্যের জয় হয়েছে, মিথ্যা পরাজিত হয়েছে। আদালতের মর্যাদা সমুন্নত হয়েছে।’
আজহারুল ইসলামের কারামুক্তির বিষয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা আদালতে একটা শর্ট অর্ডার চেয়েছি, অ্যাডভান্স অর্ডার চেয়েছি। অ্যাডভান্স অর্ডার আদালত মঞ্জুর করেছেন। আদালত বলেছেন, আমরা চেষ্টা করবো; আজকেই, আজকে এবং কালকের মধ্যে যেন এই শর্ট অর্ডারটা প্রসেস হয়ে এটিএম আজহারুল মুক্তি পেতে পারেন, এজন্য সকল আইনি ব্যবস্থা আমরা গ্রহণ করবো।’
শিশির মনির ছাড়াও আদালতে জামায়াত নেতা আজহারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন।
এদিকে রায়ের পর্যবেক্ষণে আপিল বিভাগ জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ভুল ছিলো। বিচারের নামে অবিচার হয়েছে ।
রায় ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ও নায়েবে আমির। দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, সুম্মা আলহামদুলিল্লাহ।’ আর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, ‘সত্যের বিজয় হয়েছে।’
রায় ঘোষণার সময় দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের ছাড়াও জামায়াত নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’সুম, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান, জামায়াতের ঢাকা উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন, মাসুদ সাঈদী, জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমির ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
আজ (মঙ্গলবার, ২৭ মে) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের বেঞ্চ খালাসের রায় ঘোষণা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আজহারকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন আজহার।
শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। পরে রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন জামায়াত নেতা। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রিভিউ শুনে ফের আপিল শুনানির সিদ্ধান্ত দেয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের এটিই প্রথম মামলা, যেটি রিভিউ পর্যায়ে আসার পর ফের আপিল শুনানির অনুমতি পায়।