ওসি মাহিনুল ইসলাম বলেন, ‘গ্ৰেপ্তারকৃত সবাই গণপিটুনিতে জড়িত। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে চলমান রয়েছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর অশোকতলা এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর ফুলমতি ভবনের জান্নাত ফুড ফ্যাক্টরিতে সায়েম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহত সায়েম সদর দিদার মার্কেট এলাকার ভাড়াটিয়া অটোরিকশা চালক আমিনুল ইসলামের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি রংপুর জেলায়।
আরও পড়ুন:
স্থানীয়দের অভিযোগ, সায়েম ও তার সহযোগীরা বিসিক এলাকার বিভিন্ন কারখানা থেকে চাঁদা আদায় করতো। এছাড়া তারা চুরি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪টার দিকে সায়েম বিসিকের ফুলমতি ভবনের জান্নাত ফুড ফ্যাক্টরিতে চাঁদার জন্য যায়। এসময় ফ্যাক্টরির লোকজন তাকে ওই ভবনে মারধর করে আটকে রাখে।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত সায়েম দীর্ঘদিন ধরে বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাই করে আসছিলেন বলে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।’
তিনি জানান, মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।