বাদীপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, এ মামলায় নতুন করে এক আসামিকে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত। নতুন করে পলাতক ১৯ জনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন আদালত।
তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান রিপোর্টে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় এজাহারনামীয় তিনজনকে এবং সঠিক নাম-ঠিকানা না পাওয়ায় তদন্তে প্রাপ্ত একজনকে অব্যাহতির প্রার্থনা করেছিলেন। সুকান্ত দত্ত নামে ওই ব্যাক্তি সিএমপির অস্ত্র, মাদক, চুরি, ডাকাতিসহ আটটি মামলার আসামি। তদন্ত রিপোর্টেও তাকে ‘দুর্ধর্ষ আসামি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ঘটনার পর মূল হত্যাকারীদের সাথে তার ছবি ভাইরালও হয়। বাদীর সাথে কথা বলে তাকে আসামি হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত রাখার আবেদন আদালত গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মফিজুল হক ভূইয়া বলেন, ‘চার্জশিট গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার কাজে বড় ধরনের অগ্রগতি হলো।’
এর আগে, গত ১০ আগস্ট আদালত বাদীর উপস্থিতিতে রিপোর্ট শুনানির জন্য সমন জারি করেন। সেই আদেশ মোতাবেক সোমবার বাদী জামাল উদ্দিন আদালতে হাজির হন এবং তদন্ত প্রাপ্ত আসামি নারাজি দাখিল করবেন না মর্মে আদালতকে অবহিত করেন।
এ মামলায় বর্তমানে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ২০ জন আসামি গ্রেপ্তার আছেন এবং ১৮ জন পলাতক রয়েছেন।