নারায়ণগঞ্জে ছাত্র আন্দোলনের ৫ হত্যা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন, তদন্তে বাদী অনুপস্থিত

নারায়ণগঞ্জ
প্রতীকী ছবি
এখন জনপদে
আইন ও আদালত
0

নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দায়ের হওয়া পাঁচটি হত্যা মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। তদন্তে বাদীকে খুঁজে না পাওয়া, একই ঘটনায় একাধিক থানায় মামলা দায়ের হওয়া এবং ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানার বাইরে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এসব প্রতিবেদনের অনুমোদনও সম্পন্ন হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি আরও জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার রাকিব, ফতুল্লা থানার রিয়াজ, ফতুল্লার কিশোর ইব্রাহিম, সোনারগাঁ থানার কিশোর জনি হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা এবং সোনারগাঁ থানার ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় আরও একটি মামলাসহ পাঁচটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্র জানায়, পরবর্তীতে সংঘটিত ঘটনার সংশ্লিষ্ট থানাগুলোতে নতুন করে এসব মামলা পুনরায় রুজু করা হয়েছে।

রাকিব হত্যা মামলা

ভোলার চরফ্যাশনের হাশেম মিয়ার ছেলে রাকিব আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা (নং-৪১(৯)২৪) হয়। পরে তদন্তে জানা যায় প্রকৃত ঘটনাস্থল ছিল রাজধানীর যাত্রাবাড়ী। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানায় নতুন করে মামলা (৮৫(৭)২৫) রুজু করা হয়।

রিয়াজ হত্যা মামলা

ভোলার দৌলতখাঁনের আব্দুর রবের ছেলে রিয়াজ নিহত হলে ফারজানা নামে এক নারী বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা (২৮(১০)২৪) করেন। কিন্তু তদন্তে বাদীর সঙ্গে ভিকটিমের কোনো সম্পর্ক পাওয়া যায়নি। এছাড়া তিনি মামলার অগ্রগতি নিয়েও অনীহা প্রকাশ করেন। ফলে ওই মামলায় প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। পরবর্তীতে নিহতের পিতা আব্দুর রব বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় নতুন মামলা (৮১(০৭)২৫) দায়ের করেন।

আরও পড়ুন:

ইব্রাহিম হত্যা মামলা

সিলেট কোতোয়ালীর হানিফ মিয়ার ছেলে কিশোর ইব্রাহিম আন্দোলনের সময় নিহত হয়। ঘটনাস্থল যাত্রাবাড়ী হলেও প্রথমে ফতুল্লা (২১(০৮)২৪) ও পরে সোনারগাঁ থানায় (১৬(৮)২৪) মামলা হয়। তদন্তে প্রকৃত স্থান যাত্রাবাড়ী হওয়ায় উভয় মামলাতেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। পরে নিহতের মামা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা (৪৭(০৭)২৫) দায়ের করেন।

জনি হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা

সোনারগাঁয়ের ইয়াসিন মিয়ার ছেলে জনি (১৭) কাঁচপুর ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনের সময় গুলিতে প্রাণ হারায়। প্রথমে সোনারগাঁ থানায় মামলা (১০(৮)২৪) দায়ের হয়। তবে তদন্তে ঘটনাস্থল সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় হওয়ায় সোনারগাঁ মামলায় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে নিহতের পিতা ইয়াসিন মিয়া বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা (২০(৭)২৫) দায়ের করেন।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৮টি হত্যা মামলা, হত্যাচেষ্টা ও অন্যান্য অভিযোগে আরও ৫২টি মামলা হয়েছে। মোট ১০০টি মামলার তদন্তকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দুটি মামলায় এরইমধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে, বাকি মামলাগুলোতেও যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ইএ