তিনি বলেন, ‘ল'ইয়ারদের বিরুদ্ধে কনটেম্পট হয়, জাজদের বিরুদ্ধে কেনো হয় না? আপনাদের সদয় বিবেচনার জন্য বলছি, আজকের বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি যেদিন হলেন, আমি বলেছিলাম প্রধান বিচারপতি আপনার বিচারকদের বলে দেবেন, আমার কোনো ল'ইয়ার যেন কোনো বিচারক দ্বারা অসম্মানিত না হয়। আমি বলেছিলাম আমার ল'ইয়ারা বাংলাদেশের প্রায় ৮০ হাজার আদালতের কর্মকর্তা। প্রিজাইডিং বা জাজ হিসেবে কোনো ল'ইয়ারের সাথে দুর্ব্যবহার করতে না পারে এটা আপনি খেয়াল রাখবেন। সঙ্গে সঙ্গে বলেছিলাম, প্রধান বিচারপতি মনে রাখবেন আপনিও কিন্তু কনটেম্পট অব কোর্টের ঊর্ধ্বে নন।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘আপনার বিচার প্রক্রিয়ায়; আপনাদের বিচার প্রক্রিয়ায়, কোনো জাজের বিচার প্রক্রিয়ায় এমন কোনো ধারণা যদি তৈরি হয় মানুষের মাঝে আদালতে গেলে ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে না, আদালত মানুষের নির্যাতনকে প্রশ্রয় দেয়। কোনো বিচারকের এই ধরনের আচরণের কারণে যদি বিচার বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়। তাহলে ওই বিচারক আদালত অবমাননার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন।’
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘এসে দেশের বিচারপতি খাইরুল হক, সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যে অনাস্থা পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে যে ধরনের বিচার ব্যবস্থা আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছিল আমি বলেছিলাম এখান থেকে আদালত অবমাননার দোষী সাব্যস্ত হওয়া শুরু হোক। সে কারণে আমি আশ্বস্ত করতে চাই আমরা যারা কাজ করছি তারা দুর্নীতির বিরুদ্ধে থেকে আইনজীবীদের জন্য অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করবো এটা আমাদের প্রত্যয়।’