হজ পালনের উদ্দেশে এরইমধ্যে ১০ লাখের বেশি মুসল্লি পৌঁছেছেন সৌদি আরবে। নানা চড়াই-উৎড়াই পেরিয়ে যারা পবিত্র কাবায় পা রাখতে পেরেছেন, তারা আল্লাহর দরবারে জানাচ্ছেন শুকরিয়া।
মুসল্লিদের মধ্যে একজন বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কাবা ঘরে আসার তীব্র ইচ্ছে ছিল। প্রথমবারের মতো এখানে আসতে পেরেছি। কাবাঘর দেখতে পেয়ে খুবই খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।’
অন্য একজন বলেন, ‘সুদূর সিরিয়া থেকে এসেছি। কয়েকদিন আগেই জালিমের হাতে আমাদের সিরিয়া স্বাধীন হয়েছে। ইসলাম ও মুসলিমদের ওপর আল্লাহর রহমত ছায়া থাকুক, সেই দোয়া করি।’
এবারে হজে মুসুল্লিদের অন্যতম চাওয়া গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ হোক। গাজার পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করছেন তারা।
হজ করতে আসাদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আল্লাহর কাছে দোয়া করছি গাজা ফিলিস্তিনিদের জন্য নিরাপদ ভূমি হোক। ফিলিস্তিনকে যেন আল্লাহ স্বাধীন করে দেন। তাদেরকে ইসরাইলি অত্যাচার থেকে মুক্ত করুক।’
অন্য একজন বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালা মহান। লেবাননে তিনি নিশ্চয়ই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন। সেখানকার মানুষ যেন নিরাপদে থাকতে পারে সেই ব্যবস্থা করুক।’
প্রচণ্ড রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করেই মসজিদুল হারামে কাতার বেঁধে নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা।
চলতি বছর আরাফাতের ময়দানে হজের প্রধান আনুষ্ঠানিকতা হবে ৪ জুন। এবছর বাংলাদেশ থেকে হজে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৮৭ হাজারের বেশি মুসুল্লি। এরইমধ্যে এর ৯০ ভাগের বেশি মুসল্লি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।