লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত আরাফাতের ময়দান। মক্কা নগরী থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হচ্ছেন লাখো মুসল্লি। যেখানে দাঁড়িয়ে স্মৃতি বিজড়িত বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) । সূর্যোদয়ের পর তাঁবুর শহর মিনা থেকে আরাফাতের উদ্দেশে রওনা হন তারা।
আরফাতের ময়দানে অবস্থানকেই মূল হজ বিবেচনা করা হয়। যেখানে মুসল্লিরা সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। যোহরের নামাজের আগে পাঠ করা হবে হজের খুতবা। এবার খুতবা পড়াবেন মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শায়খ সালেহ বিন হুমাইদ। যা ৩৪টি ভাষায় অনুবাদ করে শোনানো হবে মুসল্লিদের। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আরাফাতের দিন মুসল্লিদের সকাল ১০টা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত তাঁবুর ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সৌদির হজ কর্তৃপক্ষ।
এরপর মুযদালিফার উদ্দেশে সূর্যাস্তের পর আরাফাত ময়দান ত্যাগ করবেন মুসল্লিরা। সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। মুযদালিফায় খোলা আকাশের নিচে সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে মশগুল থাকবেন সারারাত। এরপর শয়তানকে মারার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন হাজিরা।
পরদিন ১০ জিলহজ্ব ঈদুল আজহার দিন মিনায় ফিরে গিয়ে শয়তানকে পাথর মেরে, কোরবানি দিয়ে মাথা মুণ্ডন করবেন মুসল্লিরা। কাবা শরীফ তাওয়াফের পর বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করবেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ১৫ লাখের বেশি মুসল্লি।
হজযাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার জন্য ৬২টি বিমান সংস্থা তিন হাজারের বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া সৌদির অভ্যন্তরে ভ্রমণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে হারামাইন হাইস্পিড ট্রেন। হজের সময় চালু থাকবে একদিনে সাত লাখের বেশি যাত্রী বহনে সক্ষম এই রেল ব্যবস্থা।
ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হজ। গেল বুধবার (৪ জুন) ইহরাম পরে আল্লাহর ঘর খ্যাত কাবা শরীফ সাতবার তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শুরু হয় পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা।