আজ (শুক্রবার, ২ মে) সিলেটের বিভিন্ন মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, রুই মাছ পাইকারি ২৫০ থেকে শুরু করে ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে, যা খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে।
গ্রাসকার্পের দাম ও সপ্তাহ ব্যবধানে কেজি ৩০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৮০ টাকায় যা খুচরা বাজারে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। দাম বেড়েছে ইলিশের মাছেরও। প্রতি কেজি ইলিশ আকার ভেদে সর্বনিম্ন ১৬০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা খুচরা বাজারে ১৯০০ থেকে ২৮০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে পাবদা মাছ গেল সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়ে পাইকারি বাজারে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে যা ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি। গলদা চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি দরে যা, খুচরা বাজারে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা কেজি।
এছাড়া কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে সব ধরনের ছোট মাছের দামও। মাছ চড়া মূল্যে বিক্রি হওয়ার কারণ হিসাবে বিক্রেতারা জানান, এ মৌসুমে মাছের আমদানি কমে যাওয়া এবং মাছের খাদ্যসহ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম বাড়ছে। এ প্রভাব আগামী ঈদুল আযহা পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।
এদিকে, ক্রেতারা বলছেন মাছ কিনতে এসে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। সাধারণ অনেক ক্রেতারাই দাম বেশি হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী মাছ কিনতে পারছেন না। এমন অবস্থায় বাজার মনিটরিংয়ে বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।