কুড়িল বিশ্বরোড মোড়ের আকাশচুম্বী ফ্লাইওভার কিংবা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে পূর্ব দিকে তাকালেই চোখে পড়বে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে। যেখানে রয়েছে যোগাযোগের নানা সুবিধা আর নির্মাণশৈলীর সব আধুনিক বৈশিষ্ট্য। সবমিলিয়ে প্রশস্ত এই সড়ক যেন মজবুত অর্থনীতির নতুন উদাহরণ।
কুড়িল থেকে বালু সেতু পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার ১২ লেনের করা হয়েছে। যেখানে মাঝখানের ৮ লেন বাধাহীন ও সিগনালবিহীন মূল সড়ক। আর দুই পাশের বাকি ৪ লেন সার্ভিস সড়ক। এর বাইরে ভবিষ্যতে আরও ২ লেন বাড়ানোর জায়গা রাখা হয়েছে।
বালু সেতু থেকে কাঞ্চন সেতু পর্যন্ত বাকি ৬ কিলোমিটার ১০ লেনের। পুরো সাড়ে ১২ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ৬টি বড় নদী। সেখানে করা হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ের সমান প্রশস্তের ৬টি সেতু। এসব কাজের অগ্রগতি শতভাগ।
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের পরিচালক এম এম আহাসন জামিল বলেন, এই সড়কে বেশকিছু আন্ডারপাস রয়েছে। সাইকেল, অটোরিকশা, সিএনজি কোনোভাবেই এক্সপ্রেসওয়েতে ঢুকতে পারবে না।
পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের দুইপাশে গড়ে উঠেছে পূর্বাচল, রিমঝিম ও বসুন্ধরার মতো বড় বড় আবাসিক এলাকা। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এসব আবাসিক এলাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ১৩টি দৃষ্টিনন্দন আর্চ সেতু করা হয়েছে।
পাখির চোখে এ্যাটগ্রেড ইন্টারসেকশনগুলো আরও স্পষ্টভাবে ধরা দেয়। যেখানে দেখা যায়, ইন্টারসেকশনের ওপর থেকে আশপাশের এলাকাকে আলাদা সড়কের মাধ্যমে সংযুক্ত করা হয়েছে। আর ইন্টারসেকশনের নিচে পাতাল সড়কের দুই পাশে করা হয়েছে বিশেষ ড্রেনেজ ব্যবস্থা। যার নিচে বসানো হয়েছে ২টি করে চৌবাচ্চা।
প্রকল্প পরিচালক জানান, রেকর্ড বৃষ্টিপাত হলেও ইন্টারসেকশনে পানি জমবে না।
এছাড়া কুড়িল মোড় থেকে বালু সেতু পর্যন্ত পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে সড়কের দুই পাশে ইতোমধ্যে ১০০ মিটার প্রশস্ত খালের কাজ শেষ হয়েছে। টলটলে পানি আর খালের দুই পাড় বাঁধাইয়ে যা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন। প্রকল্প পরিচালক বলেন এর ফলে আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না।
১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের মূল সড়কে যাত্রী ওঠানামার জন্য ১৮টি বাস বে রয়েছে। যেখানে রাস্তা পারাপারের জন্য ৬টি ফুটওভার ব্রিজও আছে।
প্রকল্প পরিচালক জানান, ৫ বছর পর পর রক্ষণাবেক্ষণ করলে এক্সপ্রেসওয়ের স্থায়িত্ব হবে কমপক্ষে ১০০ বছর। এছাড়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও সড়ক দৃষ্টিনন্দন করতে এই সড়কে ১০ কোটি টাকা খরচে প্রায় ৭০ হাজার গাছ রোপণ করা হয়েছে।