চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপন আয়োজনে মুখর শিল্পকলা একাডেমি

চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপন আয়োজনে মুখর শিল্পকলা একাডেমি
শিল্পাঙ্গন
দেশে এখন
0

১৪৩১ কে বিদায় ও একইসাথে ১৪৩২ বরণ করে নিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে চলে চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠান। দুদিনের এই আয়োজনে লোকগান, হস্তশিল্প প্রদর্শনী ছাড়াও গ্রাম বাংলার নানা ঐতিহ্যের সমারোহ রাখা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকারের সংস্কৃতির মূল দর্শন বাংলাদেশ।

আবাহনীর আলেয়া বেগমের সুরে মুহূর্তেই ভেসে উঠে প্রচলিত গ্রাম বাংলার মুখ। চৈত্রের প্রখর রৌদ্রে এভাবেই সুরে সুরে উদযাপনের করা হয় বাংলা বছরের শেষ দিন চৈত্রসংক্রান্তির।

শিল্পকলা একাডেমির মুক্ত মঞ্চে দুই দিনের চৈত্র সংক্রান্তি ও বৈশাখ উদযাপনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শুরুতে পরিবেশিত হয় বাউল গান এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলা গান। লালনগীতি পরিবেশন করে নবপ্রাণ আন্দোলনে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া থেকে আগত সাধুরাও।

এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এবং কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, বাংলা সংস্কৃতিকে বুঝতে হলে ফিরে তাকাতে হবে গ্রাম বাংলার দিকে।

কবি ও রাষ্ট্র চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেন, ‘সংস্কৃতিকে সামনে আনার মধ্য দিয়ে আমরা একটা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আমরা কল্পনা করতে পারি। এবং সকলকে নিয়ে একটি শক্তিশালী সমাজ ও রাষ্ট্র গড়তে পারি। এ বার্তাটা দেয়া আমাদের কর্তব্য ছিল।’

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেন, ‘এই প্রথম সরকারিভাবে চৈত্র সংক্রান্তি ও পহেলা বৈশাখকে একত্র করে একটা অনুষ্ঠান হচ্ছে। যার মধ্য দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশে অতীতে শুধু পহেলা বৈশাখ পালন করছিলাম সেখানে একটা পরিবর্তন আসলো।’

উৎযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ মেলার যেখানে স্থান পেয়েছে বিভিন্ন হস্তশিল্পের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সবজির বীজ ও মুখরোচক বাঙালি খাবার।

এর আগে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সংস্কৃতির মূল দর্শন বাংলাদেশ। ফিরিয়ে আনা হবে দেশের পুরোনো সংস্কৃতিও।

সোমবার আনন্দ শোভা যাত্রায় অংশগ্রহণ এবং মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হবে এই বিশেষ আয়োজন।

এএইচ