এ পরিস্থিতিতে রাজধানীর ট্রাফিক ও জননিরাপত্তা বজায় রাখতে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি। জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে এবং সম্ভাব্য ভোগান্তি এড়াতে এসব নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এনডিসি স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির নির্দেশনা:—
গুলশান-বনানী থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত সড়কে অবস্থান না করে ফুটপাতে অবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গুলশান/বনানী থেকে উত্তরা সড়ক এড়িয়ে চলার অনুরোধ জানিয়ে কয়েকটি বিকল্প সড়ক ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কামারপাড়া–ধউর ব্রিজ–পঞ্চবটী–মিরপুর বেড়িবাঁধ হয়ে গাবতলী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, উত্তরা-ডিওএইচএস-মিরপুর রুট, গুলশান-১–মহাখালী হয়ে এয়ারপোর্ট যাত্রা।
সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জিয়া কলোনী, জাহাঙ্গীর গেইট, সৈনিক ক্লাব ও স্টাফ রোড দিয়ে শুধুমাত্র হালকা যানবাহন চলাচলের অনুমতি থাকবে।
সিএনজি ও মোটরসাইকেল এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারিত টোল ও গতিসীমা মেনে চলতে পারবে। ওভারস্পিড ও লেন পরিবর্তনে থাকবে কড়াকড়ি।
এদিন সকালে টঙ্গী, এয়ারপোর্ট ও তেজগাঁও স্টেশনে সব আন্তঃনগর ট্রেন ২ মিনিট থামবে। অতিরিক্ত একটি শাটল ট্রেনও চালু থাকবে।
এয়ারপোর্টগামী যাত্রী, বিশেষ করে হজযাত্রী ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সময় হাতে রেখে রওনা হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিরপুর ও উত্তরা এলাকার যাত্রীদের মেট্রোরেল ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
অভ্যর্থনাকারীদের কোনো ধরনের ব্যাগ, লাঠি ইত্যাদি বহন না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কেউ নিজস্ব যানবাহন নিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে যুক্ত হতে পারবেন না।
অভ্যর্থনাকারীরা মোটরসাইকেলযোগে জনতার মধ্য দিয়ে চলাচল করতে পারবেন না। তবে জনসমাগম না থাকলে সাধারণ চলাচলে বাধা নেই।