চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মিয়ানমারে চলমান সংকট এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সংকট সমাধানের দায়িত্ব শুধু চীনের একার নয়। এটা পশ্চিমা শক্তিসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায়িত্ব।’
তিনি বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের অংশীদারত্বের মধ্যে সামরিক অংশীদারত্বও আছে। কিন্তু চীন ও বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার উন্নয়ন। আর উন্নয়নের জন্য দরকার স্থিতিশীলতা। এর জন্য যেসব সংস্কার দরকার, সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে চীন।’
রাখাইনে মানবিক করিডোরের ব্যাপারে চীন জড়িত নেই—এমন জানিয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যেকোনো দেশের সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে সম্মান রাখে চীন। তাই দেশগুলো যেকোনো ব্যাপারেও নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে। চীন মনে করে, বাংলাদেশ ও চীন শান্তিপূর্ণ উপায়ে রোহিঙ্গা সংকটসহ সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাখাইনে ‘স্বাধীন রাষ্ট্রের’ কথা বলেছে, এ ব্যাপারে তারাই উত্তর দিতে পারবে বলেও মত দেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্পের কাজ শুরু করতে প্রস্তুত চীন, তবে এর জন্য বাংলাদেশকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের ব্যাপারে দেশটির রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন। বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত চায় চীন। বেইজিং চায়, উভয়পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলা এমন কোনো পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবে।’