তিনি আজ (মঙ্গলবার, ২১ মে) ভাষানটেক থানা জামায়াত আয়োজিত পশ্চিম ভাষানটেক গুদারাঘাট শ্যামলপল্লী বস্তিতে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
থানা আমীর ডা. আহসান হাবীবের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি ইকবাল হোসেন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থানা নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম, জামায়াত নেতা ডা. শফিকুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুল করিম, মোজাম্মেল হক শাফায়েত, ফারুক হোসেন, সিরাজুল ইসলাম ও আবু সাঈদ মিয়া, যুবনেতা আবুল কাশেম, ছাত্রনেতা সিয়াম, মহসিন ও শরিফুলসহ থানা কর্মপরিষদ, ওয়ার্ড দায়িত্বশীল, সামাজিক ও বস্তির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীর ভাষানটেক থানার গুদারাঘাট শ্যামলপল্লী বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় চার শতাধিক ঘরবাড়ি ভস্মীভূত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
ডা. খালিদুজ্জামান বলেন, ‘রাজধানী ঢাকায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, অনুমোদনবিহীন ইমারত নির্মাণ এবং অগ্নিনির্বাপণে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার না থাকায় এর অন্যতম কারণ। আমরা প্রতিনিয়তই দেখতে পাচ্ছি অগ্নিকাণ্ডে প্রতিবছর শত শত পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। সবকিছু হারিয়ে তারা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছেন। তাই অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।’
তিনি জামায়াতের পক্ষে অগ্নিদূর্গতদের সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ডা. খালিদুজ্জামান বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী ন্যায় ও ইনসাফের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চায়। গড়তে চায় ঐক্য এবং সম্প্রীতির এক বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ
তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, তিনি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত শ্যামলপল্লী বস্তি এলাকার বাসিন্দাদের খোঁজ-খবর নেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে তিন লাখ টাকা আর্থিক অনুদান ও ফুড প্যাকেট বিতরণ করেন।—সংবাদ বিজ্ঞপ্তি