ঈদে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন যাত্রীরা, সময়মত ছাড়ছে ট্রেন

যাত্রীরা ট্রেন উঠছেন
দেশে এখন
0

ঈদযাত্রায় যাত্রীর চাপ বাড়ছে রেল ও সড়ক পথে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্নেই বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। কমলাপুর রেলস্টেশনে আজ (বুধবার, ৪ জুন) সকাল থেকেই ছিল ভিড়। আর বাস টার্মিনালে অনেককেই দেখা যায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেটে যাত্রা শুরু করতে। দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, ঈদযাত্রা নিরাপদে করতে ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার।

তৃতীয় দিনে ঈদযাত্রায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের চিত্র। বুধবার সকাল থেকেই আনাগোনা থাকলেও বেলার সঙ্গে বাড়ে যাত্রী চাপ। অনলাইনে টিকিট কাটায় এবারের যাত্রায় কাউন্টার ফাঁকা। বিশৃঙ্খলা এড়াতে টিকিট যাচাইয়ের মাধ্যমে স্টেশনে প্রবেশ করেন যাত্রীরা।

এদিন প্রতিটি ট্রেনই গন্তব্যে ছেড়ে যায় নির্ধারিত সময়ে। কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই স্বস্তির ঈদযাত্রার কথা বলছেন রেলযাত্রীরা।

যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এবার ঈদের তো লম্বা ছুটি। সবাই যাচ্ছে একসঙ্গে। রাস্তায় অন্য ওইরকম জ্যাম নাই। স্টেশনে আসতে তেমন ঝামেলা হয়নি।’

অন্য একজন বলেন, ‘টিকিট পেয়েছি। বাড়ি যাওয়ার অনুভূতি ভালো। আরও বেশি ভালো লাগছে কারণ বাড়িতে বাবা-মার সাথে ঈদ করতে যাচ্ছি সেজন্য।’

এক জোড়া বিশেষ ট্রেন ও ৪৪টি আন্তঃনগরসহ মেইল কমিউটার মিলিয়ে মোট ৬৩টি ট্রেন ঢাকা ছাড়বে জানিয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার বলছেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রী সাধারণ যে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ করতে না পারে এজন্য বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। স্টেশনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধে তৎপর আছেন।’

দুপুরের কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনে আসেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় তিনি প্লাটফর্মে ঘুরে ঘুরে ঈদ যাত্রার চিত্র দেখেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে, সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, যাত্রা নির্বিঘ্নে নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যাত্রীরা যেন নির্বিঘ্নে যেতে পারে সেজন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আমি আশা করবো যাত্রীরা নির্বিঘ্নে যেতে পারবে। এ পর্যন্ত চার থেকে পাঁচটা ট্রেন তিন চার মিনিট করে দেড়ি হয়েছে, অন্য ট্রেনগুলো দেরি হয়নি। আরও যে ট্রেনগুলো যাবে আশা করি সেগুলোতেও দেরি হবে না।’

এদিকে রাজধানীর মহাখালী, সায়দাবাদসহ বিভিন্ন বাস টার্মিনালগুলোতেও দেখা যায় রাজধানী ছাড়া মানুষের চাপ। অগ্রিম টিকিট কাটা যাত্রীদের পাশাপাশি যাত্রার আগেও টিকিট কাটেন অনেকে।

বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ না থাকলেও টিকিট কাটতে কিছুটা ভোগান্তির কথা জানান যাত্রীরা। আর যাত্রীর পর্যাপ্ত রয়েছে জানিয়ে কাউন্টার কর্মচারীরা বলছেন, টার্মিনালে প্রবেশে দেরি হওয়ায় বাস ছাড়তে সময় লাগছে।

টিকিট কাউন্টারের একজন বলেন, ‘টঙ্গীর ওইদিকে অল্প জ্যাম থাকায় গাড়ি আস্তে আস্তে ঢুকছে। যাত্রীও মোটামুটি ভালো আছে।’

পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে নির্বিঘ্নে রাজধানীতে ফিরে পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দিবেন এমন প্রত্যাশা ঘরমুখো মানুষের।

এসএস