টিকিট কাউন্টারেও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যাত্রীদের। অনেক কষ্টে টিকিট পাবার পর, অপেক্ষা শুরু হয় বাস ছাড়ার। বাসের জন্য তিন সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। গুনতে হয় দ্বিগুণ ভাড়াও।
মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ভোগান্তি আরও বাড়িয়ে দেয়। তবুও ঘরে ফেরার তাড়ায় টিকিটের লাইন কমেনি। বাস না পাবার অভিযোগের মধ্যেও বেশকিছু বাস দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় টার্মিনালে।
৩শ থেকে ৪শ টাকার ভাড়া দ্বিগুণ হাঁকাতেও দেখা যায় তাদের। যাত্রীদের অভিযোগ সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াতেই ছাড়া হচ্ছেনা বাস গুলো।
এদিকে বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সব ট্রেন সময় মতো ছাড়লেও ২ ঘণ্টা দেরি করেছে উত্তরবঙ্গগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস। এসময় ছেড়ে যাওয়া ট্রেন গুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বিশেষ করে ট্রেনের ছাদে যাত্রী চাপ ছিল উদ্বেগজনক। বিনা টিকিটে ছাদে ওঠা যাত্রীদের ব্যাপারে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থাও।
যারা সিট পেয়েছেন অতিরিক্ত চাপে ভোগান্তিতে তারাও। ট্রেন ছাড়ার কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা আগেই যাত্রীদের স্টেশনে আসতে দেখা গেছে। টিকিট উলট পালটেরও অভিযোগ পাওয়া গেলো।
যাত্রীর চাপ বেড়েছে সদরঘাটেও। নৌপথের স্বস্তির যাত্রায় ভোগান্তি বাড়ায় সড়কপথ। তীব্র যানজটে পরিবারের ছোট সদস্যদের নিয়ে আসা যাত্রীদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে।
যাত্রীদের চাপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম অবস্থা লঞ্চ সংশ্লিষ্টদের। লঞ্চের ছাদ থেকে শুরু করে কানায় কানায় যাত্রীতে পূর্ণ হলেও লঞ্চ ছাড়ে দেরিতে।
এবারের ঈদে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের দাবি, যাত্রী সেবায় বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেয়নি রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থাগুলো। একইভাবে বিআইডব্লিউটিসির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নৌযানগুলোও যাত্রীসেবা থেকে বাদ পড়েছে।