৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদার বিপরীতে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন) সরবরাহ করা হয় মাত্র ১৭০ মিলিয়ন ঘনফিট গ্যাস। দীর্ঘদিন থেকে চট্টগ্রামে জাতীয় গ্রিড থেকে বিকল্প লাইনে গ্যাস সরবরাহের দাবি জানিয়ে আসছিল স্থানীয়রা। জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস পেলেও বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম গ্যাসের জন্য পুরোপুরি মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের উপর নির্ভরশীল। ফলে ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে টার্মিনাল বন্ধ হলে কিংবা বৈরী আবহাওয়ায় এলএনজি সরবরাহ বন্ধ থাকলে তীব্র গ্যাস সংকটে পড়ে চট্টগ্রাম।
বিরূপ আবহাওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে ভাসমান এলএনজি টার্মিনালের সঙ্গে কার্গোবাহী জাহাজের সংযোগ দেয়া যাচ্ছে না দুই দিন ধরে। এতে এলএনজি খালাস করতে না পারায় সোমবার থেকে কমতে শুরু করে গ্যাসের চাপ। এতে নগরের কাট্টলী, খুলশী, আগ্রাবাদ, হালিশহরসহ নগরের বিভিন্ন এলাকার শিল্পকারখানা ও বাসাবাড়িতেও তৈরি হয়েছে গ্যাস সংকট। হঠাৎ গ্যাস না থাকায় বন্ধ রান্নাবান্না। যাতে চরম দুর্ভোগে নগরবাসী। অনেকেই বাধ্য হয়ে ভিড় করছেন হোটেলগুলোতে।
স্থানীয়রা জানান, গ্যাস চলে যাওয়ায় তাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়েছে। গ্যাস না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থা করে রান্না করতে হয়েছে। এতে তাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এদিকে, ফিলিং স্টেশনগুলোর সামনে তৈরি হয়েছে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় যানবাহন চালকদের। চালকরা জানান, আজকে কোথাও গ্যাস নাই। গ্যাসের জন্য যেই সময়টা গেছে তার মানে তো আমাদের জন্য আর এই সময়টা নেই।
তবে বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ এলএনজিবাহী কার্গো জাহাজ ভাসমান টার্মিনালের পাশে ভিড়েছে। গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে প্রত্যাশা কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কর্তৃপক্ষের।
বিতরণ অঞ্চল (উত্তর) কেজিডিসিএলের উপ - মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ রফিক খান বলেন, ‘ক্রাইসিস হওয়ার পর থেকে আমরা ১৭০ বা ১৬০ মিলিয়ন গ্যাস পাচ্ছি। আমাদের প্রায় ১০০ মিলিয়ন মতো গ্যাসের সংকট আছে।’