দেশের ইতিহাসের জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে, কলঙ্কজনক ঘটনার সাক্ষী হয় দেশের মানুষ। বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ জন চৌকস সেনা কর্মকর্তাকে।
এ ঘটনার ১৬ বছর পর সুষ্ঠু তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করে জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন। কমিশনের তৃতীয় সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরা হয় বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ।
কমিশন প্রধান জানান, তৎকালীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ব্যর্থতায় ভয়াবহ রূপ নেয় পিলখানা হত্যাকাণ্ড। এতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা ছিল। এমন বাস্তবতায় এরইমধ্যেই শেখ হাসিনাসহ তার উপদেষ্টা, আওয়ামী লীগ সরকারের কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৪ জনকে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক নেতারা জড়িত এরকম তথ্য আমরা পেয়েছি। এর বাইরে আমরা এই মুহূর্তে বলতে চাচ্ছি না। দুইজন পালিয়ে থাকা রাজনীতিবিদ ওয়েবসাইটে ই-মেইলের মাধ্যমে তাদের সাক্ষ্য দিয়েছেন। বাকিগুলো আমরা অ্যাম্বাসিতে যদি যেতে পারি তাহলে যেখানে তারা আছেন সেখানের কর্মকর্তাদের আমরা অনুরোধ জানাবো।’
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর ঘটনার কারণ ভিন্নখাতে নিতে চাল-ডাল কর্মসূচি, জঙ্গিবাদের সংশ্লিষ্টতা সামনে আনা হয় বলেও জানায় কমিশন।
আ ল ম ফজলুর রহমান বলেন, ‘তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য জঙ্গিবাদকে আনার চেষ্টা করা হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্রদের ব্যাপকভাবে বিডিআরে নেয়া হয়েছে ৩৫ শতাংশের মতো, রকমও বলা হয়েছে। পরে দেখা গেলা সেগুলো ১২ শতাংশের বেশি না।’
এদিকে এখনও ৫০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ এবং কিছু বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ বাকি থাকায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় বৃদ্ধির অনুরোধ করেছে কমিশন।
এদিকে আজও সাবেক সরকারের আমলে চাকরি হারানো বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক সদস্যরা ঢাকার শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন।