তিনি বলেন, ‘আমাদের কোনো বন্দরই আন্তর্জাতিকভাবে গড়ে ওঠেনি। এমনকি চট্টগ্রাম বন্দরেরও সেভাবে আন্তর্জাতিক কানেকশন নেই। আমাদের দেশে পায়রা বন্দর নামে নতুন বন্দর তৈরি করা হয়েছে। এখন আমরা এ বন্দর নিয়ে কী করতে পারি, তা ভাবছি। আমরা নতুন এ বন্দরের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পরবর্তীতে নতুন সরকার এসে এ বন্দরের কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে। পায়রা বন্দর যাতে টাকা বরাদ্দ পায়, আমি সে চেষ্টাও করে যাচ্ছি। আমাদের দেশের নদীপথ যেন আরও সচল হয়, সে জন্যও আমি চেষ্টা করছি। পায়রা বন্দর পর্যন্ত যদি রেল লাইন চলে আসে, তাহলে এ বন্দর আরও কার্যকর হবে।’
মাতারবাড়ীতে আন্তর্জাতিকমানের গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা, পায়রা বন্দরের ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং মংলা বন্দর ব্যবহার করে রিকন্ডিশন গাড়ি আমদানি করার উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান নৌপরিবহন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেসরকারি এবং বিদেশীদের বলছি তাঁরা যেন বিনিয়োগে আগ্রহী হয়। বরিশালে যদি আমরা কনটেইনার টার্মিনাল করি, তাহলে হয়তো ভালো হবে।’
আরও পড়ুন:
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের (পিপিএ) চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘২০২৬ সালের জুলাই থেকে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনালের অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনা শুরু হবে। বুয়েটের একটি বিশেষজ্ঞ দল এবং নেদারল্যান্ডের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েল হাসকনিং দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কাজ করে পায়রা বন্দরের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছে। তাদের গবেষণালব্দ এ মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করা হলে ভবিষ্যতে বন্দরটি দেশের এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে পায়রা বন্দর রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নিজস্ব সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।’