ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে একাধিক কিংবা পুরো আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হবে: সিইসি

কথা বলছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন
দেশে এখন
0

কোনো ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে আশপাশের একাধিক কিংবা পুরো আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘কোনো এক কনস্টিটিউয়েন্সি (নির্বাচনী এলাকা) গোলমাল করলে; একটা কেন্দ্র, দুইটা কেন্দ্র, একাধিক কেন্দ্র—পুরো কনস্টিটিউয়েন্সি বাতিল করে দেবো। যদি বেশি গোলমাল দেখি পুরো কনস্টিটিউয়েন্সি বাতিল করে দেবো। তোমার ভোট বন্ধ, পরে আরেকদিন নেবো। সেই আইনই করছি এখন আমরা।’

আজ (শনিবার, ৯ আগস্ট) সকালে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি একথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা উদ্যোগ নেবো, সচেতনতা কর্মসূচি সিরিয়াসলি নেবো এবং তাদেরও আশ্বস্ত করবো যে, একটা ফেয়ার ইলেকশন আমরা আয়োজন করবো।’

এ সময় নির্বাচনী আইনে সংশোধনের বিভিন্ন অংশ তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেবেন তারা।’

ভোটে লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি হলে দলগুলো নির্বিঘ্নে ভোট উৎসবে অংশ নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন:

কেউ ভোট বর্জন করলেই তাকে দেশদ্রোহী বলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে সুষ্ঠু ভোট বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা সংশোধন হলে বয়সভিত্তিক, নারী কিংবা অসুস্থদের জন্য আলাদা ভোটের লাইনের ব্যবস্থা করা হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মানুষ তো ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অভ্যাসটাই ভুলে গেছে। ভোটের দিন ছুটি থাকে, আমি ঘুমাই—কারণ আমি না গেলেও তো ভোটটা কেউ না কেউ দিয়ে দেবে। এই রকম একটা মন মানসিকতা তৈরি হয়েছিল। মানুষকে ভোটকেন্দ্রমুখী করা এবং সবাইকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।’

আইনশৃঙ্খলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারপরেও আমি বলব, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি গত বছরের ৫ আগস্টের পরে অনেক উন্নতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের মধ্যে একটা পরিবর্তন আসবে। সব জায়গায় যে শিক্ষকদের দিয়ে করাবো এমন নাও হতে পারে। আমরা বিকল্প চিন্তা করছি।’

নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এখন মানুষ তো বিদেশ থেকে আমদানি করে নির্বাচন করতে পারা যাবে না। দেশের মানুষ দিয়েই তো করতে হবে। এখন ওদেরকে নিয়ে আগাতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমরা জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ। আমি এবং আমার সহকর্মীরা এটাকে ইমানি দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। আমার সিদ্ধান্ত কারো পক্ষে-বিপক্ষে যেতে পারে। কিন্তু এটা আমার কারণে নয় এটা আইন-কানুনের জন্য।’

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ আমার হুঁশ আছে ততক্ষণ আমি কারো পক্ষে নই বরং নিরপেক্ষভাবে কাজ করব।’

সেজু