বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের টেলিভিশন, সংবাদপত্র ও অনলাইন আউটলেটগুলোতে ফৌজদারি অপরাধে দণ্ডিত এবং গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার অডিও সম্প্রচার ও প্রচার ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। এছাড়া গত বছরের ডিসেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাক্তন স্বৈরশাসকের ঘৃণামূলক বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করেছিল।
অন্তর্বর্তী সরকারের দাবি, গত বৃহস্পতিবার কিছু গণমাধ্যম আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসকের একটি ভাষণ প্রচার করেছে, যেখানে তিনি মিথ্যা ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এ ধরনের অপরাধমূলক প্রচারকর্মে জড়িত গণমাধ্যমের কর্মকর্তাদের সতর্ক করে বিবৃতিতে জানানো হয়— ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচার বা প্রকাশ করা হলে তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতির ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার ঝুঁকি নেয়া যাবে না। শেখ হাসিনা জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় শত শত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীর গণহত্যার নির্দেশ দেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং বর্তমানে তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বিচারাধীন। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বাংলাদেশে নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার জানায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ অনুযায়ী, যেকোনো ব্যক্তি বা সংগঠন যারা শেখ হাসিনার মতো অভিযুক্ত নেতাদের বক্তব্য প্রচার, প্রকাশ বা সম্প্রচার করবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা ও গণতান্ত্রিক অখণ্ডতার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জনগণ প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রথমবারের মতো সত্যিকারের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
সতর্কবার্তায় সংবাদমাধ্যমগুলোকে শেখ হাসিনার অডিও বা বক্তব্য প্রচারে দায়িত্বশীলতা অবলম্বন করতে আহ্বান জানানো হয়। বলা হয়, তার যেকোনো মন্তব্য, বক্তব্য বা উসকানিমূলক প্রচার বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করবে। এ ক্ষেত্রে আইন অমান্যকারী যেকোনো গণমাধ্যম বাংলাদেশের আইনের অধীনে জবাবদিহির আওতায় আসবে।