পাকিস্তান উপপ্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর: আলোচনায় ছিলো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ

পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
দেশে এখন
0

সফরের শেষ দিন রোববার ব্যস্ততম সময় পার করেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দা। প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করেন। খোঁজখবর নেন জামায়াতের আমিরের স্বাস্থ্যের। আলাপচারিতায় উঠে আসে, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণের ইস্যুগুলো।

রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেলে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দা দেখা করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পরে প্রধান উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিভিন্ন চিত্র সম্বলিত একটি গ্রাফিতির বই উপহার দেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

এক যুগেরও বেশি সময় পর পাকিস্তানি কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর। দুই দিনের এ সফরের শেষ কর্মসূচি ছিলো বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ।

আরও পড়ুন:

সন্ধ্যায় বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় পৌঁছে তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। পৌনে ১ ঘণ্টার সাক্ষাতে দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা ও একসাথে কাজ করার বিষয়ে আলাপ হয় তাদের। এসময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সংগঠন সার্ক নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন খালেদা জিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটি সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও পাকিস্তান রাষ্ট্রদূত ইমরান হায়দার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাতে দু’দেশের মানুষের ভবিষ্যতে সম্পর্ককে স্বাভাবিকরণ যাতে সবাই মিলিতভাবে কাজ করতে পারে সে কথা উনি বলেন।’

এর আগে দুপুরে জামায়াতে ইসলামীর আমিরের সাথে দেখা করেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আধাঘণ্টার বৈঠকে জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেয়ার পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ঐক্য নিয়ে আলাপ করেন তারা। বিশেষ করে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে মুসলিম দেশগুলোর শক্ত অবস্থান তৈরিতে গুরুত্বারোপ করেন দুই নেতা।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে এসেছিলেন। সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, বিশেষ করে ফিলিস্তিনে যা চলছে এ ব্যাপারে উনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে একটি জয়েন্ট বডি তৈরি হয়ে সম্ভাবনাগুলো ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রগুলো আবিষ্কার করতে পারে এবং সেভাবেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি।’

ইএ