রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসায় যুক্তরাষ্ট্র

কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প
দেশে এখন
0

যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশসহ এ অঞ্চলের দেশগুলোর প্রশংসা করেছে। গতকাল (রোববার, ২৫ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন জানাচ্ছে বার্মার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতি, যারা সহিংসতা ও বাস্তুচ্যুতির শিকার হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দান অব্যাহত রাখার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকারকে সাধুবাদ জানাই। এছাড়া বার্মা থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার জন্য এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানাই।

যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রশংসা এসেছে এমন সময়, যখন কক্সবাজারে তিন দিনের ‘স্টেকহোল্ডার সম্মেলন’ শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে। সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সরকার জানিয়েছে, সম্মেলন থেকে আসা প্রস্তাব এবং বক্তব্যগুলো আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে তুলে ধরা হবে।

রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ অভিমুখে অনিশ্চিত যাত্রা শুরু হয় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট। সেসময় রাখাইন থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়। পূর্বে ওই এলাকার ক্যাম্পে বসবাস করছিল আরও চার লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ সে সময় এই হত্যাযজ্ঞকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী উদাহরণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে। যুক্তরাষ্ট্রও রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞকে ‘জেনোসাইড’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

আরও পড়ুন:

উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবির বিশ্বের বৃহত্তম শিবিরে পরিণত হয়েছে। ২০১৭ সালের শেষ দিকে মিয়ানমারের অং সান সু চি সরকার রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে রাজি হয় এবং সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিতেও সই করে। এরপর ২০১৯ সালে দুই দফায় প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেয়া হলেও মিয়ানমার সরকারের অস্থির আচরণের কারণে তা কার্যকর হয়নি।

করোনাভাইরাস মহামারি এবং ২০২১ সালের সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইংয়ের ক্ষমতায় ওঠার পর আন্তর্জাতিক মনোযোগও কমে গেছে। বাংলাদেশ সরকার বারবার অভিযোগ করছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের ওপর যথেষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে ব্যর্থ হয়েছে, ফলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এখনও স্থায়ী সমাধানে পৌঁছায়নি।

এসএস