আজ (সোমবার, ২৫ আগস্ট) জাতীয় জাদুঘরে ‘রেডিয়েন্ট স্টারস: লিংজিয়াতান কালচার ফটো এক্সিবিশন ফ্রম আনহুই, চায়না’ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রদর্শনীটি ‘‘সভ্যতার মধ্যে সংলাপ এবং বন্ধুত্বের উৎসব’’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশ-চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর এবং ‘‘ইয়ার অব পিপল-টু-পিপল এক্সচেঞ্জেস’’ উদযাপনের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ বাণিজ্য ও অবকাঠামোর সীমা ছাড়িয়ে সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গভীর সংযোগ প্রতিষ্ঠা করেছে।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘লিংজিয়াতানের জেড শিল্পকর্ম মানুষ ও প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্যের প্রতীক। তিনি বাংলাদেশি নিদর্শন যেমন মহাস্থানগড়, উয়ারি-বটেশ্বর ও পাহাড়পুরের সঙ্গে এ শিল্পকর্মের মিল তুলে ধরেন। এছাড়া, প্রদর্শনী সমকালীন জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার তথ্যও প্রদান করছে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বাংলাদেশের জাতীয় জাদুঘর ও আনহুই মিউজিয়ামের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারককে যুগান্তকারী উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ করেন। এর মাধ্যমে যৌথ প্রদর্শনী, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও একাডেমিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। তিনি আনহুই প্রদেশের ব্রোঞ্জ প্রতিলিপি ও ‘ফোর ট্রেজারস অব দ্য স্টাডি’ উপহার দেয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং জাতীয় জাদুঘরের স্থায়ী ‘চায়না কর্নার’-এ তা স্থাপনকে বন্ধুত্বের স্থায়ী প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চীনের আনহুই প্রদেশের ভাইস গভর্নর সান ইয়ং, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মফিদুর রহমান, বাংলাদেশ-চীন কালচারাল ইকোনমিক অ্যান্ড মাস কমিউনিকেশন সেন্টারের সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের কালচারাল কাউন্সেলর লি শাওপেংসহ কিউরেটর ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
উপদেষ্টা পরে জাতীয় জাদুঘরের প্রদর্শনী ও চায়না কর্নার পরিদর্শন করেন। প্রদর্শনীটি ২৫ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
