আজ (মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট) দুপুরে মানববন্ধনে অংশ নেন অভিনেতা, অভিনেত্রী, কলাকুশলী, পরিচালকসহ শিল্প ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিভিন্ন কর্মী। বক্তারা অভিযোগ করেন, বিগত ১৫ বছরের দুঃশাসনের সময় যেসব শিল্পী ও কলাকুশলীরা সুবিধা নিয়েছেন, তারা এখন মায়াকান্না করছে, তাদের বিচারের দাবি উঠেছে।
বক্তারা বলেন, শিল্পীরা সমাজকে পথ দেখায়। অথচ হেলিকপ্টারে করে শিশুদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্বার্থ, পদ ও অর্থের জন্য স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে তারা। এমনকি গণঅভ্যুত্থানের পরও বিভিন্ন ইস্যুতে সমর্থন দিচ্ছে।
সংগীত শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি বলেন, ‘আমাকে গত ১৫ থেকে ১৭ বছর কোনো বক্তব্য দিতে দেখেননি। কারণ, আমি গান গাইছিলাম ১৯৯২ সালে, এজন্য আমি দোষী হয়েছি। তারা আমার ভাতাটাও বন্ধ করে দিয়েছে। এ দিন দিন নয়, আরও দিন আছে। এ দিন নিয়ে যাবে সেই দিনের কাছে। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।’
আরও পড়ুন:
চলচ্চিত্র নির্মাতা ডায়মন্ড বলেন, আজ আপনারা নিশ্চয়ই দেখছেন ভারতের দক্ষিণের একজন অভিনেতা থালাপতি বিজয় স্বৈরাচার উপাধি দিয়ে মোদির বিরুদ্ধে অবস্থান আহ্বান করেছেন। ওই আন্দোলনে লাখ লাখ মানুষ এ চলচ্চিত্র অভিনেতার ডাকে সাড়া দিয়ে উপস্থিত হয়েছে। আর আমরা কি দেখলাম, আমরা দেখলাম গুলি করে শতশত ছেলেমেয়েকে হত্যা করা হচ্ছে, শিশুদেরকে হত্যা করা হচ্ছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালালো আর আমাদের এখানকার কতিপয় চলচ্চিত্র নাট্য সংগীত– এ সমস্ত শিল্পীরা টেলিভিশনের ইট ধরে কান্নাকাটি করছে। কেউ আবার উপদেশ দিচ্ছে প্রশাসনকে ও পুলিশকে যে বাচ্চাদের ওপর গরম পানি নিক্ষেপ করো।
তারা এসব শিল্পীদের বয়কট করার আহ্বান জানান। অন্যদিকে বিএনপির আমলে দেশের জন্য গান গেয়ে দোষী হতে হয়েছে বলেও দাবি করেন তারা।