নিরীক্ষা কমিটি প্রত্যাখ্যান করে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি

শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
দেশে এখন
1

প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত ‘নিরীক্ষা কমিটি’ প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কমিটিতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি থাকতে হবে জানিয়েছেন তারা। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নতুন করে ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে। আজ (বুধবার, ২৭ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে যাত্রা করলে দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, পুলিশের হামলায় কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এ ঘটনার প্রতিবাদের বিকেলে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি জুবায়ের আহমেদ তাদের নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানান।

সাংবাদিকদের জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে আন্দোলনকারীদের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহি করতে হবে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গঠিত কমিটিতে আমাদের প্রতিনিধিত্ব না থাকায় আমরা সেটিকে প্রত্যাখ্যান করলাম।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে নতুন ৫ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

তাদের দাবিগুলো-

১. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে প্রকৌশল আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত এবং ন্যাক্কারজনক হামলার জন্য আন্দোলনকারীদের সামনে এসে উপস্থিত হয়ে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে এবং জবাবদিহিতা করতে হবে।

আরও পড়ুন:

২. ডিসি মাসুদের বক্তব্য অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের হাতে চাকু ছিলো। তাকে এ বক্তব্যের প্রমাণ দিতে হবে। যদি প্রমাণ দিতে না পারে তাহলে তাকে অবিলম্বে বহিষ্কার করতে হবে।

৩. প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ইতিপূর্বে গঠিত কমিটিকে অনুপযুক্ততার কারণে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। অনতিবিলম্বে আমাদের পেশ করা তিন দফা দাবিকে মেনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।

৪. হামলায় আহত সকল শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করতে হবে এবং উক্ত আন্দোলন চলাকালীন সময়ে সকল শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। পুলিশ দিয়ে এ যৌক্তিক আন্দোলনে আর কোনো প্রকার হামলা করা যাবে না।

৫. রোকন ভাইয়ের ওপর হামলাকারীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করতে হবে।

এসএস