বন্ধ করে দেওয়া স্থলবন্দর তিনটি হচ্ছে- নীলফামারীর চিলাহাটি, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর। এছাড়া, হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত রাখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, ‘চিলাহাটি স্থলবন্দর, দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং তেগামুখ স্থলবন্দর সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।’
প্রেস সচিব জানান, এ বিষয়ে মন্ত্রীসভা কমিটি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘দেশে অনেকগুলো স্থলবন্দর অনুমোদন থাকলেও সেগুলোর বেশিরভাগই কার্যত অকার্যকর। প্রয়োজনীয় অবকাঠামো না থাকা বা বাণিজ্যিক কার্যক্রম না থাকায় এগুলো চালু রাখতে গিয়ে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় করতে হয়। এসব স্থানে কর্মকর্তাদের পোস্টিং দিতে হয় এবং করদাতাদের অর্থ ব্যয় হয়।’
এ সময় তিনি জানান, অতীতে রাজনৈতিক বিবেচনায় সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি স্থলবন্দর অনুমোদন দেয়া হলেও বাস্তবে সেখানে প্রত্যাশিত বাণিজ্যিক কার্যক্রম গড়ে ওঠেনি। ফলে এগুলো সরকারের জন্য অপ্রয়োজনীয় আর্থিক বোঝা হয়ে দাঁড়ায়।
প্রেস সচিব আরও জানান, বর্তমানে কার্যক্রমহীন আরও চারটি স্থলবন্দরের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেগুলোর বিষয়ে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ উপস্থিত ছিলেন।