রিট আবেদনকারী ফাহমিদা আলমকে লক্ষ্য করে ‘গণধর্ষণের পদযাত্রা’ করার হুমকি দিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ঢাবির শিক্ষার্থী আলী হুসেন। মুহূর্তে তার স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে যায়। শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। পরে এ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ডাকসুর নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রশিবির। তাদের এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
ঢাবি প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বিষয়গুলো দেখার জন্য একটি টাস্কফোর্স রয়েছে। এটার প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী। তিনি এসব বিষয় দেখছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ওই ছেলের বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রশিবিরের কাছ থেকে দুটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সেগুলো টাস্কফোর্সে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী টাস্কফোর্স থেকে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে সেই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ডাকসু নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দেবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে এস এম ফরহাদ। রাত সাড়ে ৯টার দিকে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যিনি ক্রাইম করেছেন তাকে শিবির নেতা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ এ ঘটনার পরপরই আমরা প্রশাসনকে কল করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এরকম নারীর বিরুদ্ধে স্লাট-সেমিং এবং নারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে বাজে ভাষার যে কালচার উঠেছে সেটার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ, লড়াই। এ লড়াইটা সমন্বিতভাবে হওয়ার দরকার ছিল।’