বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নৌবাহিনীর সদস্যরা লেবাননের নৌবাহিনী জাহাজ বানৌজা সংগ্রামে যাত্রা করেন। এ সময় কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের পক্ষ থেকে চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এম আশরাফুল আলম নৌ-সদস্যদের বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান। এ আয়োজনে নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত (বুধবার, ১৯ নভেম্বর) ক্যাপ্টেন ফাহিদ আবদুল্লাহের নেতৃত্বে প্রথম গ্রুপের ২৫ জন নৌ-সদস্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ত্যাগ করেন। আগামী ( বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর) ব্যানকন-১৫ (ইউনিফিল) এর ১১০ জন নৌ-সদস্য দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন:
এর আগে সহকারী নৌবাহিনী প্রধান (অপারেশন্স) রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা লেবাননগামী নৌ-সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন।
আইএসপিআর জানায়, বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ২০১০ সাল থেকে লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছে। ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে উপমহাদেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশ নৌবাহিনীর যুদ্ধ জাহাজ বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত রয়েছে।
বর্তমানে নিয়োজিত নৌবাহিনী জাহাজ ‘বানৌজা সংগ্রাম’ লেবাননের ভূখন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে কাজ করছে। পাশাপাশি জাহাজটি লেবানীজ জলসীমায় মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন পরিচালনা, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফটের ওপর নজরদারি, দুর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবাননের সামরিক সদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানসহ লেবাননে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিয়মিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।





