চাষিরা জানান, বাইরের পোকামাকর ভিতরে আসতে পারেনা। তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শীতকালের ফসল যেমন গরমে করা যায় তেমনি গরমের ফসলও শীতে করা সম্ভব। তাই ১২ মাসেই চাষ করা যায়।
আধুনিক পলিহাউজে পানি সাশ্রয়ী ড্রিপ ইরিগেশন, স্প্রিংকলার ইরেশন, সৌরচালিত পাম্প, ক্লাইমেট স্মার্ট টেনোলজিসহ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব সুবিধা থাকায় কোন ঝামেলা ছাড়াই প্রায় বছরজুড়ে ফুল-সবজি চাষ সম্ভব হয়। একইসঙ্গে ফলানো যায় একাধিক ফসল।
কৃষকরা আরও বলেন, 'উৎপাদন খুবই ভালো পাচ্ছি, নষ্ট হয়না। দাম ভালো পাচ্ছি আর সবজিটাও বিষ মুক্ত।'
ফুল চাষের এ দিকটিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী নেতারা। প্রকল্পের আওতা এবং সময়সীমা বাড়ালে আরো চাষি উপকৃত হতে পারবেন বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, 'সারাদেশে ৫০০টির মত পলিহাউজ করা গেলে উৎপাদিত ফুল-সবজি বিদেশে রপ্তানি করা যাবে।'
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় পলিহাউজে ফুল ও সবজি চাষ সম্প্রসারণে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়ার দাবি কৃষি বিভাগের।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক ড.সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, 'ছোট আকারে গ্রিনহাউজের মত করে কৃষক পর্যায়ে আমরা শুরু করেছি। যাতে ঝড়-বৃষ্টি থেকে ফসলটা রক্ষা পায়। সেইসাথে উন্নত বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থাপনার দিকেও নজর দিচ্ছি।'
আধুনিক পদ্ধতিতে ফুল চাষে উৎসাহিত করতে চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা এবং জেলায় আরো ২১টি পলিহাউজ সেট করার প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন বলে জানান বিএডিসি কর্মকর্তা।
বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মাযহারুল ইসলাম বলেন, 'ত্রিশটি পলিহাউজের কাজ সম্পন্ন করেছি। দশ হাজার স্কয়ার ফিটের একেকটিতে ১৭লক্ষ টাকা করে ব্যয় হয়েছে। নতুন আরও ২১টির জন্য প্রকল্প অনুমোদন করা আছে।'
শুধু গদখালী নয় জেলার অন্যান্য জায়গাতেও এই পদ্ধতিতে সবজি ও ফুল চাষ করার আহ্বান প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের।