চব্বিশের গণহত্যার বিচার আগে, তারপর অন্যকিছু: জামায়াত আমীর

কক্সবাজার
এখন জনপদে
রাজনীতি
0

চব্বিশের গণহত্যার বিচার সবার আগে, তারপর অন্যকিছু। ১৬ বছর পর কক্সবাজারে দলের কর্মী সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত শেখ হাসিনা ও তাদের দোসরদের কড়া সমালোচনা করেন তিনি।


দীর্ঘ ১৬ বছর পর কক্সবাজারে জামায়াতের প্রকাশ্যে কর্মী সম্মেলন। ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সকাল থেকে সম্মেলন কেন্দ্রে সমবেত হন কক্সবাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মীরা। মিছিল নিয়ে কর্মসূচিতে যোগ দেন তারা। এরপর শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা। শ্লোগানে বক্তৃতায় মুখরিত হয় কক্সবাজার সরকারি কলেজ মাঠ।

পরে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। বলেন, ‘সবার আগে ২৪ এর গণহত্যার বিচার করতে হবে। নাহলে শহীদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে।’ এ সময় রাজনীতির সাথে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দুর্বৃত্তের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘চব্বিশের গণহত্যার বিচার অবশ্যই হতে হবে। আগে বিচার তারপর অন্য কাজ। এ বিচার নাহলে শহীদদের আত্মার সঙ্গে বেইমানি করা হবে। শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। যারা বুক চিতিয়ে দেশবাসীকে আজকে কথা বলার, সম্মানের সাথে, মর্যাদার সাথে চলাফেরা করার পরিবেশ এনে দিয়েছে আমরা তাদের সঙ্গে বেইমানি করতে পারব না।’

প্রায় ৪০ মিনিটের বক্তব্যে উঠে আসে ফ্যাসিস্ট সরকারের নানা অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতির চিত্র। তুলে ধরা হয় বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত শেখ হাসিনাসহ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের কর্মকাণ্ড। এসময় খুনিদের গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেয়ার কড়া সমালোচনা করেন। একই সঙ্গে ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে আগামী নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চান তিনি।

জামায়াত আমীর বলেন, ‘যারা আল্লাহর দেয়া সর্বশ্রেষ্ঠ আইনের ভিত্তিতে এই দেশকে গড়ে তুলতে চাইবে, তাদের সাথেই আগামীতে জনগণকে হাত মিলাতে হবে। কক্সবাজারে চারটি আসন আছে, এই চার আসনে আগামীতে যারা ন্যায় ও ইনসাফের মাধ্যমে দেশ চালাতে বদ্ধ পরিকর এবং যাদের অতীত ও বর্তমান চরিত্রে এটার প্রমাণ আছে। আমি আপনাদের অনুরোধ করব প্রতিটি ভোট যেন তাদের বাক্সে যায়।’

এর আগে, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক সাংগঠনিক সফরে কক্সবাজারে যান জামায়াতের তৎকালীন আমির মতিউর রহমান নিজামী। সে সময় নির্বাচন সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় মহাজোট। এরপর ধীরে ধীরে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে জামায়াতে ইসলামী।

এএম