আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েত; পথে নামার আহ্বান হাসনাতের

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে হাসনাতসহ অন্যরা
রাজনীতি
0

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সারা দেশের সবাইকে রাজপথে নেমে আসার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। বাদ জুমা ইন্টার কন্টিনেন্টালের পাশে বড় জমায়েতের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। আজ (শুক্রবার, ৯ মে) সকালে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে হাসনাত এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে রাজনৈতিক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে তাদের নিষিদ্ধ করা না হয় এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার সুস্পষ্ট রূপরেখা আমাদের সামনে উপস্থাপন না করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না।’

হাসনাত বলেন, ‘জুমা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে।’ বাদ জুমা ইন্টার কন্টিনেন্টালের পাশের ফোয়ারাকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘এ বিচারের কালক্ষেপণের মধ্য দিয়ে আমরা মনে করছি অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের কাজ করছে।’

এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রথম এবং প্রধান প্রত্যাশা ছিল আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করবে। কিন্তু আমরা দেখেছি এখানে বিভিন্ন উপদেষ্টাদের অনিচ্ছা রয়েছে। আর কোনো টালবাহানা চলবে না। আওয়ামী লীগ কখনোই কোনো রাজনৈতিক দল নয়।’

আরো পড়ুন:

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের বিষয়ে সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন হাসনাত।

ঘোষণার পর পরই ১০টার পর হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। সেখানে তার সঙ্গে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা যোগ দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে সেখানে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। ছাত্রজনতার সঙ্গে সেখানে যোগ দেন বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

এএইচ