জামায়াতের আমির বলেন, ‘বিগত আমলে পুরা নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। আগামীতে এমন নির্বাচন আয়োজন করতে হবে যেন জনগণ তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে পারে। আগামী নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। এ মাসের মধ্যে সংস্কার শেষ হলে আগামী মাসেই নির্বাচনের রোডম্যাপ দেয়া হোক। আর সংস্কারের নির্বাচনের রোডম্যাপ জনগণের সামনে তুলে ধরা হোক।’
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘বিগত কয়েকদিনের ঘটনা দেশের মানুষকে বিচলিত করে রেখেছে। দেশের চলমান পরিস্থিতি বন্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হওয়া উচিত।’
এসময় তিনি বলেন, ‘সমস্যা যত বড়ই হোক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান সম্ভব। জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে জামায়াত ইসলাম আলোচনা করবে। জাতির মধ্যে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান আসবে।
জামায়াতে ইসলামীর আমির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান করা হোক। যেটা এখনও জনগণ দেখতে পাচ্ছে না।
বিচার বিভাগ নির্ভুলভাবে দৃশ্যমান করা হোক, নিরপেক্ষভাবে করা হোক।
মানবিক করিডোরের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মানবিক করিডোর স্পর্শকাতর বিষয়। এটা ভেবে চিন্তা আগানো উচিত সরকারের। সকল পক্ষের সাথে না বসে এ ধরনের সিদ্ধান্ত না নেয়া হোক, অথবা পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়া উচিত।’
সেনাবাহিনীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো কার্যক্রমের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা না হোক। তারা দেশের সার্বিক নিরাপত্তার সাথে জড়িত।’
নির্বাচনের ব্যাপারে সরকারের ওপর জামায়েত ইসলামী আস্থা রাখতে চায় বলেও জানান তিনি। এসময় অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে এ সরকারকে সমর্থন করার আহ্বানও জানানো হয়। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কারও ভুল বোঝাবুঝির জন্য আবারো এ জাতি যদি সঙ্কটে পড়ে তাহলে দায় কেউ এড়াতে পারবে না।’ অনুষ্ঠানে একটি দুর্নীতিমুক্ত মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে জামায়াত ইসলামীকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়।