মুষলধারে বৃষ্টি, হঠাৎ রোদ, আবার কালো মেঘ। দিনজুড়ে জৈষ্ঠ্যের চিরাচরিত রূপ দেখা গেল বগুড়ায়। তবে প্রকৃতি, বাধা হয়ে উঠতে পারেনি বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশে।
আজ (শনিবার, ২৪ মে) সকালে জনসমাগম কিছুটা কম থাকলেও, দুপুরে কাদা মাটি মাড়িয়ে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশস্থলে আসতে থাকে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিএনপির মিছিল। তাদের চাওয়া গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার।
বগুড়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেন বলেন, ‘তরুণদের একটা নতুন উদ্দীপনা এবং এটিকে কাজে লাগিয়েই আগামীর বাংলাদেশ গড়বো।’
বিকেল ৩টায় দলীয় ও জাতীয় সংগীত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সমাবেশ। আগামীর বাংলাদেশে তরুণদের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরেন তারা।
সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নির্বাচন চাওয়া অন্যায় কি না এমন প্রশ্ন রাখেন সরকারের কাছে। জানান, করিডরের নামে বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিদেশিদের কাছে কেন চট্টগ্রাম বন্দর তুলে দেবে? এটা তো জনগণের প্রশ্ন। রাজনৈতিক দলগুলোর এই প্রশ্ন। ড. ইউনূস অভিজ্ঞ মানুষ, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। কিন্তু আসিফের কথা মতো দেশ চালালে, সে দেশ খুব ভালোমতো চলবে না।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জানান, জনগণের কাছে নির্বাচিত সরকার ফিরিয়ে দেয়াই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাই প্রধান কাজ। জনগণকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেয়াই প্রথম কাজ। জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠাই প্রথম কাজ। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা প্রথম কাজ। জনগণকের জবাবদিহিতা করতে বাধ্য, এমন একটা সরকার প্রতিষ্ঠাই প্রথম কাজ।’
জানান, জোট করার জন্য কোনো কোনো দল নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে চায়। জনগণ সেটি মানবে না।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জুন মাসের মধ্যে সংস্কার, নির্বাচনের প্রস্তুতি দুটিই যদি সম্পন্ন হয় তাহলে ডিসেম্বরে নির্বাচন দিতে অসুবিধা কোথায়? কোনো কোনো দল এখনও সংগঠিত হয়নি। তারা সংগঠিত হওয়ার জন্য সময় দরকার। কোনো কোনো দল অন্যদের সাথে ঐক্য করার জন্য চেষ্টা করছে, তাদের ঐক্য করার জন্য সময় দরকার।’
বগুড়ার সমাবেশ দিয়ে শেষ হলো তৃতীয় পর্যায়ের বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ। দেশজুড়ে করা এই সমাবেশ থেকে তরুণরা কি পেল আর বিএনপিই বা তাদের ভাবনা কতটুকু জানতে পারলো। সেটি নিশ্চয়ই পরিলক্ষিত হবে আগামীর কর্মসূচিগুলোতে। তবে এটুকু বলা যায় তরুণদের আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই পরিচালিত হবে পরবর্তী বাংলাদেশ।