তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা ৭১ সালের জনগণের বিরোধিতা করেছেন। হাসিনার সাথে নির্বাচন করেছে। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দিবে। ভারতের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।’
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে রিজভী আরো বলেন, তাদের রাজনীতি ভুলে ভরা, আর বিএনপি সবসময় ইতিবাচক রাজনীতি করে।
তিনি বলেন, ‘পুশ ইনের মাধ্যমে ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে ভারত পুশ ইন অব্যাহত রাখলে এর দায় তাদের নিতে হবে।’
রিজভী বলেন, ‘লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে। অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছে না।’
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেননি।’
তিনি বলেন, ‘হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করেছে।’ এ সময় আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন দেয়ার দাবিও জানান তিনি।
সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।