পোস্টে সারজিস বলেন, ‘লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় অনুমোদিত পাথর ও বালুর সাইট থেকে নিয়মিত চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রতি গাড়ি থেকে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে আদায় করা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অভিযানে গিয়ে দুই চাঁদাবাজকে আটক করে এক মাসের সাজা দেন। এরপর বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের শতাধিক নেতাকর্মী থানা ঘেরাও করে, ভাঙচুর চালিয়ে ওই দুইজনকে জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।’

তিনি আরও জানান, জেলা পুলিশ সুপার হাতীবান্ধা থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স চাইলে সেখানেও বিএনপি নেতাকর্মীরা থানার গেট অবরুদ্ধ করে রাখে। স্থানীয়দের দাবি, পাটগ্রামে বিএনপির এক এমপি প্রত্যাশীর মদদেই এসব হচ্ছে।
সারজিস আলম বলেন, ‘এভাবে বিএনপির মাঠপর্যায়ের নেতাকর্মীরা চাঁদাবাজদের রক্ষা করলে বা অপকর্মে জড়ালে দেশ সংস্কার হবে কীভাবে? আগে নিজের দলের লোকদের কন্ট্রোল করুন, তারপর সংস্কারের কথা বলুন।’
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রশাসনকে সহযোগিতা তো দূরে থাক, যারা প্রশাসনকে জিম্মি করে দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে; তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি কী ব্যবস্থা নেয়, এখন সেটিই দেখার বিষয়।