সারজিস বলেন, তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদকে নিয়ে যা বলেছেন; সেখানে ব্যক্তি আক্রমণ করা হয়েছে। যেটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের সঙ্গে যায় না। যদিও তিনি নাম উল্লেখ করেননি। কিন্তু তার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন মুখপাত্র ইশরাক হোসেন গতকাল তার বক্তব্যে যা বলেছেন তার উল্লেখযোগ্য কিছু লাইন যদি একটু দেখি—
১. যেখানে মব (বৈষম্যবিরোধী, ছাত্রজনতা ও এনসিপিকে টার্গেট করে) দেখবেন, সেখানে তাদের উলঙ্গ করে উচিত শিক্ষা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন।
২. নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নামের একটা বেয়াদব, বদমাইশ ছেলে।
৩. এই ডার্বি নাসিরকে হুঁশিয়ারি দিতে চাই, মুখ সামলে কথা বলেন। তা নাহলে আপনাদের রাজনৈতিকভাবে ঘেরাও দিয়ে আপনাদের রাজনীতির ইতি আমরা সেখানে টেনে দেবো।
৪. রাজনীতি অনেক দূরের কথা, এদের প্রাইমারি স্কুলে পাঠিয়ে দেয়া উচিত।
৫. ফেব্রুয়ারি থেকে নির্বাচন যদি একদিনও পেছানোর চেষ্টা করে তাহলে এই সরকারকে আমরা এক ঘণ্টাও রাখবো না।
৬. অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ম্যান্ডেট কী? কিছুই না।

তিনি লিখেছেন, আমি মনে করি জনাব ইশরাক গতকালকে যা বলেছেন, সেটা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বক্তব্যের চেয়ে কয়েকগুণ নিচু লেভেলের এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। তার এ বক্তব্যে রাজনৈতিক শ্রদ্ধাবোধের বহিঃপ্রকাশ তো ঘটেইনি, বরং আওয়ামী লীগ তাদের সময়ে যেভাবে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তিরস্কার করে কথা বলতো, সেই টোনে তিনি কথা বলেছেন। ক্ষমতাকে অপব্যবহার করার সর্বোচ্চ ক্ষোভ ঝেড়েছেন। আবেগ ও রাজনৈতিক অপরিপক্বতার চূড়ান্ত এক্সিকিউশন দেখিয়েছেন।
তিনি লেখেন, আমরা যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মিউচুয়াল রেসপেক্টের সম্পর্ক দেখতে চাই, তাহলে আমাদের প্রত্যেকের নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। অন্যদের চেয়ে ভালো কিছু করে এক্সাম্পল সেট করতে হবে। যত বড় দল, দায়িত্ব তত বেশি।
এদিকে আজ সকালে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সারজিস আরও বলেন, ‘ইশরাক হোসেনের সাম্প্রতিক আচরণ ও ভাষা রাজনৈতিক শালীনতা থেকে বিচ্যুত। তিনি যেন আবার জুলাই অভ্যুত্থানের সময়কার গঠনমূলক ভূমিকায় ফিরে আসেন, সেটাই প্রত্যাশা।’ তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন হরতালের নামে যেসব চোরাগোপ্তা হামলা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, তা আমরা কেয়ার করি না।’
এছাড়াও এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনের চাওয়া ডকুমেন্ট যথাসময়ে জমা দেয়া হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিএনপি যদি বলে সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, তাহলে তাদেরও ৩১ দফা থেকে বেরিয়ে নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে।’