লাহারকান্দি ইউনিয়নের চাঁদখালী এ রব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ‘আমি-আপনি-আপনারা দেশের মানুষ সবাই জুলাই যোদ্ধা। কিছু সংখ্যক জুলাই যোদ্ধা নামে যদি আমাদের বদনাম করে এবং আমাদেরকে ব্যথিত করে, আহত করে, তাদের কারণে কষ্ট পাই, স্বাভাবিক কারণে ফ্যাসিস্ট সেখানে সুযোগ পাবে।’
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে আন্দোলন করলাম হাসিনার বিরুদ্ধে। লড়াই-সংগ্রাম, গুম-খুন, হেলিকপ্টার থেকে শিশু বাচ্চাটাকে পর্যন্ত হত্যা করেছে, ছাত্র-সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। হাসিনা পালিয়ে গিয়েছে। তারপরও সারা বাংলাদেশে সব যোদ্ধারা এক এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারবো না এক বছরের মাথায়? এটি দেশের মানুষ ভালোভাবে নিচ্ছে না।’
রাজনৈতিক দল ও নেতৃবৃন্দকে ঐক্যের আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ না হয়, তাহলে আমাদের জন্য বিপদ আছে। সবাই আবার অত্যাচারিত হবেন, নির্যাতিত হবেন। আমি-আপনি অত্যাচারিত হওয়া আর সাধারণ মানুষ অত্যাচারিত হওয়া এক নয়। আমার কারণে কেন সাধারণ জনগণ অত্যাচারিত-নির্যাতিত হবেন? আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে গণতন্ত্রের ভীতকে শক্তিশালী করি, নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করি।’
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার দৃশ্যমান বিচার এখনো হয়নি। হাসিনার নির্দেশের কারণে গুম-খুন হয়েছে, হেলিকপ্টার থেকে খুন করা হয়েছে। তার নির্দেশের কারণেই দেশের হাজার হাজার মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, রক্তাক্ত হয়েছে। হাসিনাকে ক্ষমা করার সুযোগ নেই। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এই বিচারের ব্যবস্থা করতে না পারে, আমি আপনাদেরকে অভয় দিতে চাই, আগামী দিনে এ দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা আশা করতে পারি আগামী দিনে জনগণের সরকারের নেতৃত্ব দেবে বিএনপি। হাসিনার বিচারকে আমরা নিশ্চিত করবো তারেক রহমান ও খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে।’
লাহারকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাবুদ্দিন সাবু, যুগ্ম-আহবায়ক হাসিবুর রহমান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকার কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সদর (পূর্ব) উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ, যুগ্ম-আহবায়ক শাহ মো. এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুনসহ আরও অনেকে।
