গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একমাত্র দাবিদার বিএনপি: অধ্যাপক নার্গিস বেগম

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম
এখন জনপদে
রাজনীতি
1

গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং সংস্কারের দাবি একমাত্র বিএনপি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। আজ (শনিবার, ৩০ আগস্ট) বেলা ১১টায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আজ বেলা ১১টায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশালের কবল থেকে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন করেছে। বেগম খালেদা জিয়া প্রেসিডেন্ট পদ্ধতি থেকে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা যদি কেউ করে থাকে, সংস্কার করে থাকে, তাহলে তার দাবি একমাত্র জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি করতে পারে।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা রাতের আঁধারে ক্ষমতা দখল করার রাজনীতিতে বিশ্বাস করিনা, রাতের আঁধারে ভোট চুরিতে ও বিশ্বাস করিনা, আমরা সন্ত্রাসবাদী দল নই। আমরা বিশ্বাস করি জাতীয়তাবাদী দল মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে চায়।’

অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছর বাংলাদেশ ছিল গণতন্ত্র ও মানবতাহীন। একদলীয় শাসন ব্যবস্থা ছিলো। এ ষোল বছর বেগম খালেদা জিয়া তো পালিয়ে যাননি। তিনি বলেছিলেন আমার মৃত্যু হলেও এ দেশেই থাকবো। তাকে ওয়ান ইলেভেনে চলে যেতে বলেছিলেন, তিনি যাননি। তারেক রহমানকে বলেছিলেন বিদেশে চলে যেতে, তিনি যাননি। তিনি বলেছিলেন, মৃত্যু হলে এদেশের মাটিতে হবে।

আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘পালানোর একদিন আগেও শেখ হাসিনা বলেছিলেন শেখের বেটি পালায় না, আওয়ামী লীগ পালায় না। একদিন পরেই সে পালিয়ে গেছে। শেখ হাসিনা তার গোষ্ঠীসহ বাংলাদেশের মাটি থেকে পালিয়ে গেছে। হাজার হাজার ছাত্র জনতাকে হত্যার ভয় ছিলো বলেই পালিয়ে গেছে।’

আরও পড়ুন:

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে প্রেক্ষাপট অন্যরকম হতো। তার ডাকেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ আনসারসহ মুক্তিযোদ্ধারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার এ দেশের মাটিতেই হবে। কেউ বাঁচাতে পারবেনা। বাংলাদেশের মাটিতে তার রাজনীতি চলবেনা। বাংলাদেশকে স্বনির্ভর হিসেবে গড়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সামনের নির্বাচনে যাকেই প্রার্থী দেয়া হবে তাকেই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচিত করতে হবে।’

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম। উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান। সম্মেলনে অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হাজারো নেতা-কর্মী সরকারি কলেজ মাঠে সমবেত হন।

সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আখেরুজ্জামান, ওমর ফারুক লিটন ও রুমানা আহমেদ।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ মেহেরপুর জেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৬ সালে।

ইএ