‘এক টেবিলে বসে কথা না বলতে পারলে কীসের রাজনীতি করবো’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মতবিনিময় সভা
এখন জনপদে
রাজনীতি
1

বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. তৌফিকুল ইসলাম মিথিল বলেছেন, ভিন্ন মতের মানুষদের নিয়ে এক টেবিলে বসে যদি কথা না বলতে পারি, তাহলে কীসের রাজনীতি করবো আমরা? আজ (শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তৌফিকুল ইসলাম মিথিল আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ভিন্ন মত, ভিন্ন পথ থাকবেই। এটাই হচ্ছে বিউটি অব ডেমোক্রেসি। এক টেবিলে বসে যদি কথা না বলতে পারি তাহলে কীসের রাজনীতি করব আমরা? ছোটবেলায় দেখেছি ভিন্ন মতের ভিন্ন মানুষ কীভাবে এক টেবিলে বসে কথা বলেছে, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন করেছে। কেন এ সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে, কেন একজন অন্যজনকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে নেবে?’

মতবিনিময় সভায় তার সঙ্গে ছিলেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মীর মোস্তাফিজুর রহমান। তিনিও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।

সম্প্রতি নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার পর একাধিক অনুষ্ঠানে ড. মিথিল ও মোস্তাফিজুর রহমানকে একসঙ্গে দেখা গেছে। এছাড়া একই আসন থেকে জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ছিদ্দিকীও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী।

আরও পড়ুন:

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্র ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মিথিল আরও বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা থাকবেই। প্রতিযোগিতা মানেই এখানে একটা সুস্থ রাজনীতি আছে। কিন্তু প্রতিহিংসা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্রতিহিংসা মানে হচ্ছে আমি প্রার্থী হয়েছি, অন্য কেউ প্রার্থী হতে পারবে না, কোনো নেতা হতে পারে না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতা শুধু একজন না। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বহু নেতা আছে। একমাত্র মাটি-মানুষের নেতা বলতে কেউ নেই। আজকে পাশাপাশি বসার উদ্দেশ্য এটিই। নির্বাচনে যেই আসুক, দল যাকে মনোনয়ন দেয় তার জন্যই কাজ করব। অতীতেও কাজ করেছি।’

মতবিনিময় সভায় আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে বিজয়ী হতে পারলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ নানা খাতে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে নিজের পরিকল্পনা তুলে ধরেন অধ্যাপক তৌফিকুল ইসলাম মিথিল।

মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ডা. মনিরুল ইসলাম চয়ন, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি এমদাদুল হাসান ও সাবেক সহসভাপতি ওয়াহিদুর রহমান ইমন, জেলা যুবদলের শিল্প ও সংস্কৃতি সম্পাদক দিদারুল আলম রাজীব এবং জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মীর সাইফুল আলম রিফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইএ