তারেক রহমানের দেশে ফেরার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন, নিরাপত্তায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে চিন্তিত বিশ্লেষকরা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
দেশে এখন
রাজনীতি
0

তারেক রহমানের দেশে ফেরার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বিএনপি। নিরাপত্তা নিশ্চিতে নেয়া হয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা। তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দল থেকে তারেক রহমানের নিরাপত্তার সব প্রস্তুতি নিলেও দুশ্চিন্তার জায়গা রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারে ভূমিকাকে মুখ্য মনে করছেন তারা। আর এসব বিবেচনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নিরাপত্তায় কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা নেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।

তারেক রহমান নিজেই দেশে ফেরার ঘোষণা দেয়ার মধ্যে দিয়ে নিশ্চিত হওয়া গেলো ২৫ ডিসেম্বরে ফিরছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় সেদিন বেলা ১২টা নাগাদ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বহনকারী বিমানটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানের যেটা নিয়মিত ফ্লাইট সেটাতেই তিনি আসছেন। এটার ল্যান্ডিং টাইম ১১টা ৫৫ মিনিট বাংলাদেশ বিমানবন্দরে।’

দেশে ফিরে গুলশানের ১৯৬ নম্বরের এ বাড়িতেই উঠবেন তারেক রহমান, যা ইতিমধ্যে পুরোপুরি প্রস্তুত করা হয়েছে। নিশ্চিত করা হয়েছে শতভাগ নিরাপত্তা। বাড়ির পুরো আঙ্গিনা ও সড়কেও বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা, দেয়াল জুড়ে তারকাঁটা ও নিরাপত্তা রক্ষীদের কঠোর পাহাড়া।

আরও পড়ুন:

ভূরাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মো. জগলুল আহসান বলেন, ‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের যে আদর্শ সে আদর্শকে ধারণ করে তিনি সামনে নিয়ে যাবেন। এ আদর্শকে ধারণ করতে গেলে বা সে অনুযায়ী কাজ করতে গেলে রিজিওনাল কোনো পাওয়ারের কোনো স্বার্থ আঘাত হানবে কী না এগুলো কিন্তু ভাবার অবকাশ রয়েছে। চায়না, ইউএসএ এবং ইন্ডিয়া তারা ইন্ডিয়া স্টেটস পাওয়ারে জড়িত যেখানে বাংলাদেশে একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। সেখানে নিয়ন্ত্রণ রাখতে তারা নিজেদের একটা সরকার রাখার চেষ্টা সবসময় করবে।’

তবে সম্প্রতি ওসমান হাদির ঘটনা বিবেচনায় নিয়ে তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের ভূমিকাই সবচেয়ে মুখ্য বলে মনে করেন এ বিশ্লেষক। এছাড়াও তারেক রহমানের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা জোরদারে কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তা নেয়ার পরামর্শ তার।

কর্নেল মো. জগলুল আহসান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে এসএসএফের প্রটোকল দেয়া হয়েছে৷ সেভাবে রাষ্ট্র চিন্তা করলে তাকেও সেরকম এসএসএফ বা সরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা প্রটোকল দেয়া যেতে পারে। কিছু ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটির বিষয় থাকে, কিছু ইন্টারনাল সিকিউরিটির ব্যাপার থাকে, অর্গানাইজেশন থাকে সেগুলোর মাধ্যমে কিন্তু ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে। সবভাবে আপনাকে ব্যবস্থা নিতে হবে।’

নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতার পালাবদলের রাজনীতি যখন দৃশ্যমান, সর্বত্র দেশের নিরাপত্তা নিয়ে নেতিবাচক প্রশ্ন, সেসময় বিএনপির প্রধান নেতার নিরাপত্তা নিশ্চিত কতটা সম্ভব সে প্রশ্নই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে।

ইএ